আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় থেকে দেশকে কিছু দিতে পারেনি। তারেক জিয়া হাওয়া ভবন বানিয়ে দুর্নীতি করেছিল। পাঁচবার দুর্নীতিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশ। বিশ্বের কাছে জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদের রাষ্ট্রে পরিণত করেছিল। যারা নির্বাচনে বাধা দেবে, কারচুপি করবে তাদের জন্য ভিসানীতি। আপনারা যারা নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করতে চান সাবধান হয়ে যান। বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিলে ভরাডুবি হবে।
শুক্রবার (৬ অক্টোবর) বিকালে মীরসরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ এসব কথা জানান।বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, জঙ্গিবাদ, অপরাজনীতি, অপপ্রচার ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে সমাবেশটির আয়োজন করা হয়।
মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, আমেরিকার সংস্থা আইআরআরের গবেষণা অনুযায়ী ৭০ ভাগ মানুষ শেখ হাসিনা ও সরকারের পক্ষে আছে। বিএনপি বিদেশি প্রভুদের দিয়ে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতাচ্যুত করতে চায়। বিদেশিরা তাদের ষড়যন্ত্রে কাজ করবে না।
তিনি বলেন, নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে আগামী সংসদ নির্বাচনের তফসিল হবে। জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ভোট। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। জনগণের ভোটে আওয়ামী লীগ আবারও রাষ্ট্রক্ষমতায় আসবে। নির্বাচনের প্রস্তুতি নিন। কোনও ষড়যন্ত্র করে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতাচ্যুত করা যাবে না।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি বলেন, বিএনপি খুনির দল। কিছুদিন আগে তারা মীরসরাইয়ে ১৫ বছরের এক ছেলেকে খুন করেছে। আমাদের সজাগ থাকতে হবে। আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ থাকি তাহলে তারা কাউকে হত্যা করতে পারবে না। আগামীতে যে নির্বাচন হবে, সে নির্বাচনে জনগণ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনাকে দেখতে চায়।
আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশকারীদের ঠাঁই হবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগে যারা অনুপ্রবেশকারী তাদের বহিষ্কার করতে হবে। তাদের দলে কোন ঠাঁই হবে না।’
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিজের মেজো ছেলেকে প্রার্থী করানোর বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমিতো অনেকবার নির্বাচন করেছি। আপনারা যদি চান তাহলে আগামী নির্বাচনে আমি রুহেলকে প্রার্থী করবো। আমি চাই নতুনরা দায়িত্বে আসুক। নেতৃত্ব দিক।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুর রহমান এমপি বলেন, ‘সারা বাংলাদেশে আজ নির্বাচনের ঢেউ উঠেছে। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আগামী ১৮ অক্টোবর চূড়ান্ত আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন। আমি বলতে চাই সেদিন বিএনপির শোকযাত্রা হবে। তাদের দেশনায়ক তারেক রহমানের স্লোগান নাকি টেকব্যাক বাংলাদেশ।
তিনি আরও বলেন, তারা ক্ষমতায় আসলে বাংলাদেশকে দুর্নীতি, সন্ত্রাস আর হাওয়া ভবনের রাজনীতিতে ফিরিয়ে নেবে। বিএনপি যদি নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করতে চায় তাহলে তাদের ওপর ভিসানীতি কার্যকর হবে। নির্বাচন কমিশনের অধীনে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ম্যান্ডেড নিয়ে শেখ হাসিনা আবারও ক্ষমতায় আসবেন।
মীরসরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক একেএম জাহাঙ্গীর ভূঁইয়ার সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য খদিজাতুল আলম সনি, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এমএ সালাম, সাধারণ সম্পাদক শেখ মো. আতাউর রহমান, সদস্য মাহবুব রহমান রুহেল।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সীতাকুণ্ড আসনের সংসদ সদস্য দিদারুল আলম, মীরসরাই উপজেলা চেয়ারম্যান মো. জসিম উদ্দিন, সীতাকুণ্ড উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম আল মামুন, বারইয়ারহাট পৌরসভার মেয়র মো. রেজাউল করিম খোকন, মীরসরাই পৌরসভার মেয়র মো. গিয়াস উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।