“পাকিস্তান চোরাবালিতে আটকা পড়ে গেছে” বলে মন্তব্য করেছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তিনি বলেন, এখান থেকে বেরিয়ে আসার একমাত্র উপায় অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন। অন্যথায় পাকিস্তানের পরিস্থিতি শ্রীলঙ্কার মতো হবে বলে তিনি সতর্ক করে দেন।
সম্প্রতি বিবিসির সঙ্গে এক সাক্ষাতকারে একথা বলেন তিনি। বিবিসি উর্দুর সংবাদদাতা উসমান জাহিদ, ইমরান খানের একটি বিশেষ সাক্ষাত্কার নেয়ার সময় এসব কথা উঠে আসে।
ইমরান খান মনে করেন, দেশটিতে ২০২৩ সালের এপ্রিলে সরকার আগাম নির্বাচন দিতে বাধ্য হবে।
দেশটির অর্থনৈতিক ও সার্বিক উন্নয়নের বিষয়ে সরকারের সাথে কথা বলতে প্রস্তুত কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ইমরান খান বলেন, এই সরকার কোন নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসেনি। বরং তারা নিলামের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছে।
তিনি অভিযোগ করেন, প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ সংসদ সদস্যদের কেনা-বেচার মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছেন। তিনি ২০-২৫ কোটি রূপি দিয়ে এমপিদের ভোট ক্রয় করেছিলেন বলে অভিযোগ করেন ইমরান খান।
এক্ষেত্রে তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল বাজওয়া শাহবাজ শরীফকে সমর্থন জুগিয়েছেন বলে উল্লেখ করে ইমরান খান। বাজওয়ার বিরুদ্ধে ১১০০ বিলিয়ন রূপি দুর্নীতির অভিযোগের কথা উল্লেখ করে ইমরান খান বলেন, পাকিস্তানের অর্থনীতি ডুবে গেছে।
তিনি বলেন, পাকিস্তান একটি চোরাবালিতে আটকা পড়েছে। এখান থেকে বেড়িয়ে আসার একমাত্র উপায় অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন। অন্যথায় পাকিস্তানের পরিস্থিতি শ্রীলঙ্কার মতো হবে বলে তিনি সতর্ক করে দেন।
সেনাবাহিনী ইস্যুতে যা বললেন ইমরান
ইমরান খান বলেন, ‘গত সতের বছরের মধ্যে পাকিস্তানে তার সরকারের অর্থনৈতিক সাফল্য সবচেয়ে বেশি ছিল। কেউ তাকে( সাবেক সেনাপ্রধান জেরেল বাজওয়া) জিজ্ঞেস করুক – কেন তিনি আমাদের সরকারকে উৎখাত করলেন?’
ইমরান খান প্রশ্ন তোলেন, তার সরকার কী এমন ভুল করেছিলে যে তাদের টেনে নামানো হলো? তিনি বলেন, ‘আমি এবং শওকত তারিন (তৎকালীন অর্থমন্ত্রী) একসাথে জেনারেল বাজওয়াকে বলেছিলাম, আপনি যদি এই ষড়যন্ত্র সফল করতে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা তৈরি করেন, তবে দেশের অর্থনীতি কেউ সামলাতে পারবে না। আর সেটাই হয়েছে।’
ইমরান বলেন, তার সরকারের পতন ঘটানোর পরে বাজারে বিনিয়োগকারীরা আস্থা হারিয়েছে। দেশে বিশৃঙ্খলা শুরু হয়ে গেছে। কারণ যারা ক্ষমতায় এসেছে তাদের কোন রোডম্যাপ নেই।
তার ভাষায়, ‘জেনারেল বাজওয়া তাদের সাথে মিলে যা করেছে, কোন শত্রুও পাকিস্তানের সাথে তা করতে পারেনি।