বিমান দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেলেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। মাঝআকাশে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে দুর্ঘটনার মুখে ছিলেন পাকিস্তানের এই কিংবদন্তি ক্রিকেটার ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী। দ্রুত জরুরি অবতরণের কারণে ইমরান খান রক্ষা পেলেও শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক। পুরো পাকিস্তানেই এখন বিতর্কের ইস্যু, ইমরান খানকে হত্যার চেষ্টা চলছে।
পাকিস্তানের দৈনিক দ্য ডনের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, মাঝ আকাশে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে দ্রুত জরুরি অবতরণ করে বিমানটি। তবে ইমরান কিংবা বিমানে থাকা কোনও যাত্রীরই কোনও ক্ষতি হয়নি।
শনিবার গুজরানওয়ালায় যাওয়ার জন্য একটি বিশেষ বিমানে উঠেছিলেন ইমরান খান। কিন্তু বিমান যখন মাঝ আকাশে, আচমকাই দেখা যায় বিভ্রাট। যান্ত্রিক গোলযোগের দেখা পেতেই সেটিকে ফিরিয়ে আনা হয় ইসলামাবাদে।
যদিও পিটিআই এর শীর্ষ একাধিক নেতা টুইটারে জানিয়েছেন, বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটির যে কারণের কথা বলা হচ্ছে. তা সঠিক নয়। তার দাবি, খারাপ আবহাওয়ার কারণেই উড়ানের কিছুক্ষণ পরেই বিমানটিকে ফেরানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তানে বড় ইস্যু হয়ে উঠেছে ইমরান হত্যা চেষ্টা। কয়েক দিন আগেই ইমরানের কনভয়ের একটি গাড়িতে আগুন লেগে গিয়েছিল। তবে কারও কোনও ক্ষতি হয়নি। এর আগে গত জুনে ইমরানকে হত্যার চক্রান্ত হচ্ছে বলে শোনা গিয়েছিল।
এদিকে পিটিআই নেতা ফায়াজ চৌহান নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টে লিখেছিলেন, পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরান খানকে হত্যার ষড়যন্ত্রের বিষয়ে তথ্য আছে তার কাছে। ইমরানকে হত্যার উদ্দেশ্যে ‘কোচি’ নামে আফগানিস্তানের এক আততায়ীকে ভাড়া করা হয়েছে বলেও দাবি করেছিলেন তিনি। সেই দাবির সত্যতা স্বীকার করে খাইবার পাখতুনখাওয়ার সন্ত্রাস দমন বিভাগ।
সংস্থাটির বক্তব্য , ইমরান খানের জীবননাশের জন্য আফগানিস্তানের এক ভাড়াটে খুনিকে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে এই খবর তারাও জানতে পেরেছেন।
এর আগে, এক রাজনৈতিক সমাবেশে ইমরান নিজেই তাকে হত্যার পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন। এবিষয়ে তার কাছে কিছু ভিডিও ফুটেজ আছে বলেও দাবি করেছিলেন। সাম্প্রতিক সেইসব বিতর্কে এবার নতুন মোড় নিলো ইমরানের বিমানের জরুরি অবতরণ কেন্দ্র করে।