বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের নির্মূল ও পর্যদুস্ত করতে নিষ্ঠুর আওয়ামী লীগ সরকার রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে মিথ্যা মামলার মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়ে সারাদেশকে কারাগারে পরিণত করেছে বলে মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, কারাগারগুলোতে এখন তিল ধারণের ঠাঁই নেই।
সোমবার(৬ মার্চ) সকালে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান, মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন প্রমুখ।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, সরকার ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখার জন্য এবং বিএনপিকে নেতৃত্বহীন করার লক্ষ্যে আবার পুরনো খেলায় মেতে উঠেছে। মিথ্যা, গায়েবি মামলা, গ্রেফতার, ঘরে ঘরে তল্লাশি এবং হয়রানি করে নির্যাতন নিপীড়নের মাত্রা বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। এই হীন পরিকল্পনায় দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ ও অনেক সিনিয়র নেতাসহ অসংখ্য কর্মীকে গ্রেফতার করেছে এবং কারাগারে অমানবিক নির্যাতন শুরু করেছে।
তিনি বলেন, মিথ্যা ও হীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলায় এবং সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। রিজভী ছাড়াও বিএনপির স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, সহপ্রচার সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহসভাপতি ইউসুফ বিন জলিল কালু, যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের আহবায়ক গোলাম মাওলা শাহীন, ঢাকা মহানগর উত্তরের যুগ্ম আহ্বয়ক আতাউর রহমান চেয়ারম্যান, ১নং যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ আলী ভাটারা থানা, মো: শাহজাহান ১নং যুগ্ম আহ্বায়ক গুলশান থানা সহ অসংখ্য নেতাকর্মী বর্তমান সরকারের রোষানলে কারাবন্দি আছেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যরাতের মহাভোট ডাকাতির নির্বাচনের পর বর্তমান সরকারের দুঃশাসন যেন আরও তীব্র মাত্রা লাভ করেছে। সরকার দেশকে বিএনপিশূন্য করতে এখন বেপরোয়া ভূমিকায় মাঠে নেমেছে। কর্তৃত্ববাদী স্বৈরাচারী সরকার বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতন-নিপীড়ন চালিয়ে চারদিকে ভীতির বিস্তার ঘটাচ্ছে, যাতে সরকারের বিরুদ্ধে কেউ আওয়াজ করারও সাহস না পায়।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, বিশ্বের গণধিকৃত সব স্বৈরাচারকে টেক্কা দিয়ে জনসমর্থনহীন আওয়ামী সরকার এখন মানুষের জানমালের নিরাপত্তাকে চরম হুমকির মুখে ঠেলে দিয়েছে। স্বৈরাচারী সরকারের ভয়াবহ দুঃশাসনের হিংস্ররু দেশের মানুষকে নির্বাক করে ফেলেছে। অজানা আশঙ্কা, আতঙ্ক আর ভয়ের এক বিষাদময় পরিবেশ মানুষের স্বাভাবিক জীবন-যাপনকে বিপর্যস্ত করে তুলেছে।
‘বর্তমান স্বৈরশাহী দেশে বিরোধী দলের অস্তিত্ব ধ্বংস করে নিজেদের দুঃশাসনকে প্রলম্বিত করতে চায়। তবে জনগণ তাদের এই মনোবাঞ্ছা কোনো দিনই পূরণ হতে দেবে না। অতীতের সংগ্রামী ঐতিহ্যের ধারায় বাংলাদেশের মানুষ যে কোনো ত্যাগ স্বীকার করতে দ্বিধা করবে না’, যোগ করেন বিএনপি মহাসচিব।