ঘানিম আল মুফতাহ কাতার বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কোরআন তেলাওয়াত করে ফুটবল বিশ্বকাপের ৯২ বছরের ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছেন। ‘দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কোরআন তেলাওয়াত এর আগে কখনো দেখেনি বিশ্ব। কডাল রিগ্রেশন সিন্ড্রোমে আক্রান্ত এই কাতারি যুবক তাই নজর কেড়েছে সবার৷ জন্ম থেকেই তার পা নেই।
জীবনের এই সময় পর্যন্ত বিভিন্ন প্রতিকূলতাকে পেছনে ফেলে কাজ করছেন মানবতার কল্যাণে। গড়ে তুলেছেন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আর তার মতো মানুষদের উপহার দিচ্ছেন হুইল চেয়ার।
স্বাগতিক কাতারের বিশ্বকাপ আয়োজনে কমতি ছিলো না কোনোকিছুরই। সেই সাথে মনোমুগ্ধকর কোরআন তেলাওয়াতের জমকালো উদ্বোধনী এবং জীবন বদলের গল্প ফিফার কর্মকাণ্ডের শ্রেষ্ঠত্বেরই তকমা পেয়েছে। শুরু থেকে কাতারের আয়োজন নিয়ে পশ্চিমা বিশ্বের নানা অভিযোগ উঠলেও বিশ্বকাপ আয়োজনকে নিজেদের মত করেই গুছিয়ে নিয়েছে কাতার।
৯২ বছরের ইতিহাসে সর্বপ্রথম বিশ্বকাপের উদ্বোধনী মঞ্চে কোরআন পাঠ করে সকলকে চমকে দেন ঘানিম আল মুফতাহ। জনপ্রিয় হলিউড অভিনেতা মর্গান ফ্রিম্যানের সাথে মঞ্চে উঠেন বিশেষভাবে সক্ষম ২০ বছর বয়সী এই কাতারি যুবক। ঘানিম কাতারের জনপ্রিয় মোটিভেশনাল স্পিকার, ইউটিউবার ও মানবসেবী।
তিনি পড়াশোনা করছেন ইংল্যান্ডের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ে। ফিফার শুভেচ্ছাদূতের ভূমিকায় ছিলেন তিনি। শান্তি ও মানুষের মধ্যে ঐক্যের মাধ্যমে মাইলফলক তৈরির কথা জানান ঘানিম। নিজেকে বিলেয়ে দিতে চান মানবকল্যাণে।
২০১৪ সালে কুয়েতের আমির ঘানিমকে শান্তির দূত উপাধি দেন।