প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, রিজার্ভের টাকা অলস ফেলে রাখার চেয়ে জনগণের কল্যাণে ব্যয় করা ভালো।
সোমবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) দেশের ৫৯টি জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ও সদস্যদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী জেলা পরিষদ চেয়াম্যানদের শপথবাক্য পাঠ করান এবং ৬২৩ সদস্যকে শপথবাক্য পাঠ করান এলজিআরডি মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘আমরা এই (রিজার্ভ) টাকা নিয়ে অলস বসে থাকতে পারি না। আমাদের এটি জনগণের কল্যাণে ব্যয় করতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার সাধারণ মানুষের কল্যাণ ও উন্নতির জন্য রিজার্ভের অর্থ ব্যয় করেছে।
এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, করোনাভাইরাস মহামারির সময়ে যোগাযোগ, পরিবহন, আমদানি সবকিছুই প্রায় স্থবির হয়ে পড়েছিল। ফলে রিজার্ভের টাকা প্রায় ৪৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে।
তিনি বলেন, বিশ্ব যখন স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতেছিল, তখন ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শুরু হয় এবং নিষেধাজ্ঞা আরোপ হয়। ‘ফলস্বরূপ, উচ্চ পরিবহন ব্যয়ের সঙ্গে বিশ্বব্যাপী প্রতিটি দ্রব্যের দাম বেড়েছে’ বলেও তিনি জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, খরচ সত্ত্বেও সরকার সাধারণ মানুষের কাছে সহজলভ্য করতে সবকিছু আমদানি করেছে।
তিনি বলেন, সরকার অনেক বেশি দামে খাদ্য, জ্বালানি তেল, গ্যাস, ভোজ্যতেল, গম ও ভুট্টা সংগ্রহ করছে।
তিনি বলেন, এক কোটি টিসিবি কার্ডের মাধ্যমে সরকার কম দামে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস সরবরাহ করছে। এই সুবিধার আওতায় ৫০ লাখ মানুষ ১৫ টাকা কেজি দরে চাল পাচ্ছে।
তিনি বলেন, যারা সম্পূর্ণ অক্ষম তাদেরকে আমরা বিনামূল্যে খাবার দিচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, সরকার গৃহহীনদের ঘর দিচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার বিভিন্ন অবকাঠামোগত উন্নয়নে ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করেছে।
তিনি বলেন, আমরা অন্যের কাছ থেকে ঋণ না নিয়ে নিজেদের রিজার্ভের টাকা ব্যবহার করেছি।
তিনি বলেন, রিজার্ভ মানি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সকে উড়োজাহাজ কেনার জন্য ঋণ হিসেবে দেয়া হয়েছিল।
শেখ হাসিনা বলেন, সরকার রপ্তানিমুখী শিল্পের জন্য প্রণোদনা প্যাকেজ দিচ্ছে।
রিজার্ভের টাকা নিয়ে বিএনপির অপপ্রচারের জবাবে তিনি বলেন, তাদের নেতা তারেক রহমান অর্থ পাচারের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হওয়ায় তারা অবশ্যই এটি করবে।
শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন এলজিআরডি সচিব মুহাম্মদ ইব্রাহিম।