ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র তিন প্রার্থী তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন।
স্বতন্ত্র প্রার্থীরা হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মো. মঈন উদ্দিন মঈন এবং ছাত্রলীগের সাবেক নেতা শাহজাহান আলম সাজু।
সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও জেলা নির্বাচন অফিসার জিল্লুর রহমান জানান, শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আল মামুন সরকারের নেতৃত্বে প্রার্থীরা জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়ে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন।
বিএনপি থেকে পদত্যাগ করা আইনজীবী আবদুস সাত্তার ভূঁইয়াসহ উপনির্বাচনে এখন পাঁচজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
অন্য চার প্রার্থীরা হলেন: জাতীয় পার্টির আবদুল হামিদ ভাসানী, জাকের পার্টির জহিরুল ইসলাম জুয়েল, স্বতন্ত্রভাবে জাপা বিদ্রোহী প্রার্থী জিয়াউল হক মৃধা ও স্থানীয় বিএনপি নেতা আবু আসিফ।
উপনির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর বিষয়ে মো মঈন উদ্দিন বলেন, ‘আমরা ব্যক্তিগত কারণে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছি।’
আবদুস সাত্তার ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসন থেকে পাঁচবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন ও দলবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে গত ১ জানুয়ারি আবদুস সাত্তার ভূঁইয়াকে সব পদ থেকে সরিয়ে দেয় বিএনপি।
গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পরিষদসহ দলের অভ্যন্তরীণ সব পদ থেকে পদত্যাগ করেন সাত্তার।
আগামী ১ ফেব্রুয়ারি পাঁচটি সংসদীয় আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
ঠাকুরগাঁও-৩, বগুড়া-৪, বগুড়া-৬, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে উপনির্বাচন করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
গত বছরের ১১ ডিসেম্বর সংসদ ভেঙে দেয়াসহ ১০ দফা দাবিতে সরকারবিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসেবে সংসদের সাতজন বিএনপি সদস্যের মধ্যে পাঁচজন স্পিকার ডক্টর শিরীন শারমিন চৌধুরীর কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের মো. হারুনুর রশিদ যিনি এখন অস্ট্রেলিয়ায় আছেন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের অসুস্থ সংসদ সদস্য আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া স্পিকারের কাছে ব্যক্তিগতভাবে পদত্যাগপত্র জমা দিতে পারেননি।
গত ১০ ডিসেম্বর সংসদ সদস্যরা ইমেইলের মাধ্যমে পদত্যাগপত্র পাঠান।