ভারতের ওড়িষ্যায় ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ শনিবার (০৩ জুন) সকালে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক শোকবার্তায় এ তথ্য জানিয়েছে।
শোকবার্তায় জানানো হয়েছে, ভারতের ওড়িশায় ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় হতাহতের ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গভীর শোক জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুর্ঘটনায় হতাহতের ঘটনায় আমি গভীর শোক জানাচ্ছি। একইসাথে আহতদেরও দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।
শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী দুর্ঘটনায় নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
শুক্রবার রাতের ভয়াবহ এ দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২৮৮ জনের নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোতে। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
তবে কীভাবে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে সে সম্পর্কে এখনও নিশ্চিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে উচ্চপর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
ভারতের কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন, এই ব্যাপারে দ্রুতই রিপোর্ট পেশ করা হবে। কী ভাবে এই দুর্ঘটনা, তা নিয়ে রেল এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ানের বিস্তর ফারাক দেখা গেছে। স্পষ্ট হয়নি এই ঘটনার মূল কারণ কী।
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, বেঙ্গালুরু এক্সপ্রেসের পেছনের চারটি বগি প্রথমে লাইনচ্যুত হয়ে পাশের লাইনে উঠে যায়। ওই লাইন দিয়ে এসেই লাইনচ্যুত বগিকে ধাক্কা মারে করমণ্ডল এক্সপ্রেস। এতেই চেন্নাইয়ের দিকে যাওয়া করমণ্ডলের সামনে পাঁচটি কামরা দুমড়েমুচড়ে যায়।
তবে রেল সূত্র থেকে দাবি করা হচ্ছে, মালগাড়ির সঙ্গে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের কোনো সংঘর্ষ হয়নি। কোনো কারণে প্রথমে করমণ্ডল এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত হয়। সেটি গিয়ে পড়ে পাশের ডাউন লাইনে। সেই লাইন ধরে তখন আসছিল সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস। সেটি এসে ধাক্কা মারে করমণ্ডলের লাইনচ্যুত বগিগুলোকে। সেই ধাক্কায় করমণ্ডলের ইঞ্জিন তৃতীয় লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা মালগাড়ির ওপরে উঠে যায়।