সম্প্রতি আলোচিত ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের আজিমপুর শাখার শিক্ষক মোহাম্মদ মুরাদ হোসেন সরকারের (৪৮) বিরুদ্ধে ছাত্রীদের যৌন হয়রানির অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে পুলিশ।
পুলিশ বলছে, স্কুলের পাশে কোচিং সেন্টারে ছাত্রীদের পড়ানোর নামে বিভিন্ন সময় আপত্তিকর স্থানে হাত দেওয়াসহ নানা অশোভন আচরণের মাধ্যমে যৌন হয়রানি করেছেন শিক্ষক মুরাদ। এর প্রমাণ পাওয়া গেছে তার মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপে।
বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) ড. খ. মহিদ উদ্দিন।
গত ২৭ ফেব্রুয়ারি রাতে একজন ছাত্রীর অভিভাবকের দায়ের করা মামলায় রাজধানীর কলাবাগান থেকে শিক্ষক মুরাদ হোসেনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরবর্তীতে আদালতের মাধ্যমে দুইদিনের রিমান্ড শেষে ভুক্তভোগীদের অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার দাবি করলো পুলিশ।
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার জানিয়েছে, শিক্ষক মুরাদ একাধিক ছাত্রীর শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়েছেন। তাদেরকে জড়িয়ে ধরে চুম্বনও করেছেন। একাধিক ছাত্রীর বেশকিছু অডিও রেকর্ডিং ও কথোপকথনে এর প্রমাণ মিলেছে।
তিনি জানান, সর্বশেষ গত বছরের ১৯ নভেম্বর স্কুলে পরীক্ষা শেষে শিক্ষক মুরাদের কোচিং সেন্টারে পড়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয় একজন ছাত্রীকে। বিকেলে কোচিং শেষে অন্য ছাত্রীরা চলে গেলেও একজন ছাত্রীকে শিক্ষক মুরাদ কৌশলে বসিয়ে রেখে নামাজের রুমে যেতে বলেন। এরপর তাকে জোর করে জড়িয়ে ধরে যৌন নির্যাতন করেন।
খ. মহিদ উদ্দিন জানান, কেউই একজন শিক্ষকের কাছ থেকে এ ধরনের আচরণ আশা করে না। এর আগেও ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ এসেছে। এ নিয়ে কিছু অভিভাবক ও তাদের সন্তানদের বক্তব্য শোনেন কলেজের অধ্যক্ষ। তিনি একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। এ ঘটনায় স্কুলে মানববন্ধনও হয়।