ভয়াবহ ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ায় নিহতের সংখ্যা প্রায় ১০ হাজার হয়েছে। শুধু তুরস্কেই সাত হাজার ১০৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর সিরিয়ার সরকার ও বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোতে মারা গেছে দুই হাজার ৫০৩ জন। দুই দেশ মিলে ভূমিকম্পে নিহত মানুষের সংখ্যা বেড়ে ৯ হাজার ৬০০ জন ছাড়িয়েছে। তুরস্ক ও সিরিয়ার সরকার ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নিহতের এ সংখ্যা জানিয়েছে। তবে মৃতের সংখ্যা আরও অনেক বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা ডব্লিউএইচও’-এর কর্মকর্তারা আভাস দিয়েছেন নিহত মানুষের সংখ্যা ২০ হাজারে পৌঁছাতে পারে। তুরস্কের দুর্যোগ ও জরুরি ব্যবস্থাপনা বিষয়ক কর্তৃপক্ষ আফাদ জানিয়েছে, কমপক্ষে ২,৮৩৪টি ভবন ধ্বংস হয়ে গেছে। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গাজিয়ান্তেপ শহর। ভূমিকম্পের পরে শতাধিক আফটারশক রেকর্ড করা হয়েছে।
সোমবার ভোর ৪টা ১৫ মিনিটে এই ৭.৮ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্প আঘাত হানে। বেশিরভাগ মানুষ তখন গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন। বহুতল ভবন ধসে পড়ে ঘুমন্ত মানুষের ওপর। মোমের মতো ধসে পড়েছে একাধিক ভবন। ভয়াবহ এই ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ার বিস্তৃত এলাকা মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। মিসর, লেবানন ও সাইপ্রাস থেকেও কম্পন অনুভূত হয়েছে।
ভূমিকম্পে বিভিন্ন অঞ্চলে প্রায় ৬,০০০ ভবন ধসে পড়েছে বলে জানান তুরস্কের ভাইস প্রেসিডেন্ট।
সিরিয়ায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ৫০৩ জনে।
তুরস্কের দুর্যোগ ও জরুরি ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ আফাদ তার সর্বশেষ আপডেটে জানিয়েছে, ২৪,৪০০ জনেরও বেশি জরুরি কর্মীকে অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযানে মোতায়েন করা হয়েছে।
তবে শঙ্কা হচ্ছে, এই শীত মৌসুমে তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নিচে নেমে গেলে উদ্ধার অভিযান বাধাগ্রস্ত হতে পারে।
জাতিসংঘ, ইইউ, ন্যাটো, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, চীন, রাশিয়া, ভারত, জাপান, ইরাক, ইরান, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, গ্রিস ও পাকিস্তানসহ অন্যান্য দেশের সরকার থেকে ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলে আন্তর্জাতিক সাহায্য পাঠানো হচ্ছে।