ভোট বন্ধ বা বাতিল করার ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ক্ষমতা কমিয়ে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) সংশোধনী বিল জাতীয় সংসদে পাস করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৪ জুলাই) আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক সংসদে ‘রিপ্রেজেন্টেশন অব দ্য পিপল (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল ২০২৩’ উত্থাপন করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়। বিরোধী দলের আপত্তি সত্ত্বেও বিলটি পাস করা হয়। এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বিরোধী দলের সদস্যদের বাছাই কমিটিতে পাঠানো ও সংশোধনীর বিষয়ে উত্থাপিত প্রস্তাবগুলো নিষ্পত্তি করেন।
আরপিও’র সংশোধনী অনুযায়ী, রিটার্নিং কর্মকর্তা ফলাফল ঘোষণা করে ফেলার পর কোনো আসনের পুরো ফলাফল স্থগিত বা বাতিল করতে পারবে না ইসি। যেসব ভোটকেন্দ্রে অনিয়মের অভিযোগ আসবে, শুধু সেসব (এক বা একাধিক) ভোটকেন্দ্রের ফলাফল স্থগিত করতে পারবে। এরপর তদন্ত সাপেক্ষে ফলাফল বাতিল করে ওই সব কেন্দ্রে নতুন নির্বাচন দিতে পারবে ইসি।
সংশোধিত আরপিওতে নির্বাচনের সংবাদ সংগ্রহের দায়িত্বে থাকা গণমাধ্যমকর্মী এবং পর্যবেক্ষকদের কাজে কেউ বাধা দিলে তাকে শাস্তির আওতায় আনার বিধান যুক্ত করা হয়েছে। এ ধরনের অপরাধে সর্বনিম্ন দুই বছর থেকে সর্বোচ্চ সাত বছর কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।
এছাড়া মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার আগের দিন পর্যন্ত সময়ের মধ্যে ক্ষুদ্র ঋণ এবং টেলিফোন, গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানিসহ সরকারি সেবার বিল পরিশোধের সুযোগ দেয়া হয়েছে। আগে মনোনয়ন দেয়ার সাত দিন আগে এসব ঋণ পরিশোধ করতে হতো।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সংবলিত বিবৃতিতে আইনমন্ত্রী বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে নির্বাচনকালে পেশি শক্তির প্রভাব প্রতিরোধ করা, মনোনয়নপত্রের সাথে আয়কর সনদ জমা প্রদান, গণমাধ্যমকর্মী ও পর্যবেক্ষকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাসহ কতিপয় বিষয়ে বিধান করার লক্ষ্যে রিপ্রেজেনটেশন অব দ্য পিপল অর্ডার, ১৯৭২ সংশোধন করা প্রয়োজন।
তিনি জানান, উপরে-বর্ণিত উদ্দেশ্যপূরণকল্পে, ‘রিপ্রেজেন্টেশন অব দ্য পিপল (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল ২০২৩’ শীর্ষক বিল প্রস্তুত করা হয়েছে। বিলটি জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন আইনমন্ত্রী।