ভোলায় গত ৩১ জুলাই পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় পুলিশের গুলিতে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল নেতা নূরে আলম নিহত হওয়ার ঘটনায় ভোলা সদর থানায় ৪৬ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার মামলা হয়েছে।
বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট আমিরুল বাসেত জানান, ওই ছাত্রদল নেতার স্ত্রী ইফফাত জাহান বাদী হয়ে ভোলা সদরের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে হত্যা মামলাটি দায়ের করেন।
আসামিদের মধ্যে ছিলেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরমান হোসেন ও উপ-পরিদর্শক আনিস উদ্দিন।
আদালত সদর থানার ওসিকে ৮ সেপ্টেম্বর নথি জমা দিতে বলেছে।
৩১শে জুলাই পুলিশ ও বিএনপি কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের সময় গুলিবিদ্ধ জেলা ছাত্রদল সভাপতি নূরে আলম ৩ আগস্ট রাজধানীর একটি হাসপাতালে মারা যান।
বিদ্যুৎ খাতে চলমান লোডশেডিং ও অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে বিএনপি’র দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচির অংশ হিসেবে গত ৩১ জুলাই ভোলায় তাদের জেলা দলীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হন দলের নেতাকর্মীরা। একপর্যায়ে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে কালীনাথ রায়ের বাজারে বিক্ষোভ করতে গেলে পুলিশ তাদের বাধা দিলে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। পরে পুলিশ গুলি ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করলে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আব্দুর রহিম নিহত হয় এবং নূরে আলমসহ দলের আরও কয়েকজন নেতাকর্মী এসময় আহত হন।
গত ২ আগস্ট দলের বিক্ষোভে পুলিশের গুলিবর্ষণের ঘটনা তদন্তে ১২ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে বিএনপি।