আল এমরান, ভোলা প্রতিনিধি: ভোলার চরফ্যাশনে যুবদলের মিছিলে আওয়ামী লীগের হামলার অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) সকাল ১১ টার ফিকে এই হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় যুবদলের শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন শীর্ষ নেতারা। এদের মধ্যে অনেকেই গুরুতর আহত হয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে চরফ্যাশন উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক শহিদুল আলম প্রিন্স মহাজন ফেস দ্যা পিপলকে বলেন, যুবদল চরফ্যাশন উপজেলা ও পৌরসভা নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটির নেতৃত্বে আমরা একটি শান্তিপূর্ণ মিছিল নিয়ে শরীফ পাড়ায় আমাদের দলীয় কার্যালয় থেকে সদর রোডের উদ্দেশ্য বের হয়ে হোটেল বনফুলের সামনে যাই। এ সময় মিছিলের পেছন থেকে আমাদের উপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়। জনতা রোড ও চুনপট্রিসহ স্থানগুলো জুড়ে হামলায় আমাদের প্রায় শতাধিক নেতাকর্মী আহত হন।
এদের মধ্যে ১০ জনের মত নেতাকর্মীর মাথা, চোঁখ ও হাত পায়ে গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হন বলে জানান তিনি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, বিএনপির এই মিছিলটি সদর রোড হয়ে জনতা রোডে গেলে কিছু লোক হামলা করে এবং পরে মিছিলটি ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।
চরফ্যাশন উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব জাহিদুল ইসলাম রাসেল বলেন, বিনা উস্কানিতে আমাদের উপর এই হামলা চালানো হয়, যা কোনো ভাবেই কাম্য নয়।
এ হামলায় গুরুতর আহতদের মধ্যে রয়েছে– যুবদলের জে এইচ রাজু, মো. মাকছুদ, সাহাবুদ্দীন গোলদার,আমিরুজ্জামান,আলআমিন,মিজান গাজী,ফুয়াদ মালতিয়া,হেলাল ফরাজী,মো. আবুবকর, মো. নাজমুল,সুজন, আশরাফ সহ প্রায় ৩০ নেতাকর্মী, শ্রমিকদল নেতা শাহাবুদ্দীন চেয়ারম্যান, ছাত্রদলের জাবের আল সাবা সহ অনেকে, স্বেচ্ছাসেবক দলের পৌর সদস্য সচিব মহসিন আলম, রাকিব শিকদার, ঢালচরের মোসলেউদ্দিন, জাহানপুরের মিজানুর রহমান ফরাজী, সাইফুল ইসলাম,শামছুদ্দিন,আসলামপুরের আবু তাহের, মাদ্রাজের শাহাবুদ্দিন, মামুন ঢালী, মাহবুব আখনসহ অনেক নেতাকর্মী।
স্থানীয় নেতাদের ভাষ্য, গুরুতর আহতদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা ও বরিশালে নিয়ে যাওয়া হবে।
পৌরসভা যুবদলের আহ্বায়ক আবু বকর সিদ্দিক মিল্টন বলেন, প্রায় ১৮ বছর পরে আমাদের চরফ্যাশন উপজেলা ও পৌরসভা যুবদলের নতুন কমিটি দেয়ার পরে নেতাকর্মীদের মাঝে একধরনের আনন্দ উদ্দীপনা কাজ করে, এই ধারাবাহিকতায় আমরা সদর রোডে একটি আনন্দ মিছিল বের করলে যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও শ্রমিকলীগের নেতাকর্মীরা আমাদের উপর হামলা করে এবং দ্বিতীয় দফায় দলীয় কার্যালয় ভাঙ্গচুরসহ প্রায় ৫’শর উপরে চেয়ার ভাঙ্গচুর করে।
তিনি জানান, শুধু তাই নয় সেখানে উপস্থিত থাকা আমাদের বিএনপি মনোনীত সাবেক মেয়র প্রার্থী ও স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক শিকদার হুমায়ুন কবির, যুব বিষয়ক সম্পাদক আহসান উল্লাহ্ বাহার, বিএনপি নেতা হেলাল উদ্দিন টিপু, পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মমিনুল ইসলাম ভুট্টুসহ অনেককেই হেনস্থা করা হয়।
এদিকে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে চরফ্যাশন উপজেলা যুবলীগের সভাপতি স্বপন মিয়া জানান, আজ আমাদের যুবলীগের কোনো প্রোগ্রাম ছিলো না এবং কোনো নেতাকর্মীও তখন বাজারে ছিলোনা। এটি তাদের অভ্যন্তরীন কোন্দল। তারা তাদের রাজনৈতিক বক্তব্য দিয়েছে যা সত্য নয়।
উপজেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি মো. শাহজাহান মিয়া জানান, দুপুরের দিকে বাজারে গিয়ে আমি ঘটনা শুনি। আমার শ্রমিক লীগের কোনো নেতাকর্মী আমার দৃষ্টির বাহিরে নয়। কিন্তু তারা কেউ হামলার ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত কী না তা আমি জানিনা। তবে যুবলীগের কর্মীরা বাজারে ছিলো বলেও জানান তিনি।
এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন বিএনপি মনোনীত সাবেক মেয়র প্রার্থী ও স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক শিকদার হুমায়ুন কবির।
এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা করা হয়নি বলে জানিয়েছেন বিএনপির নেতারা।