ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বলেছেন, মানব সভ্যতার সুবিস্তৃত ইতিহাসের পথ-পরিক্রমায় নবী করীম (সা.)-এর আবির্ভাব এক অসাধারণ ও অবিস্মরণীয় ঘটনা।
তিনি বলেন, মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদের প্রিয়নবী (সা.)-কে এ পৃথিবীতে প্রেরণ করেছেন, ‘রাহমাতুল্লিল আ’লামিন’ তথা- সারা জাহানের জন্য রহমত হিসেবে।
প্রতিমন্ত্রী শুক্রবার রাজধানীর ধানমন্ডির একটি মসজিদে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা ও শিশু-কিশোরদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
ফরিদুল হক খান বলেন, আমাদের প্রিয়নবী (সা.) ছিলেন বিশ্ব শান্তি, মানবতা ও কল্যাণের পথ প্রদর্শক। তাঁর মাধ্যমে ইসলাম লাভ করেছে পরিপূর্ণতা।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমি বিশ্বাস করি, মহানবী (সা.) এর ক্ষমা ও উদারতা, নারী জাতির প্রতি সম্মান, শিক্ষা ও জ্ঞান অর্জনে গুরুত্ব দান, অমুসলিম বা চুক্তিবদ্ধ নাগরিকদের নিরাপত্তা, সুশাসন, মানবিক আচরণ, কল্যাণ ভাবনা, শান্তিও যুদ্ধনীতি, মদীনা সনদ, হুদাইবিয়ার সন্ধি ও রক্তপাতহীন মক্কা বিজয়ের চেতনা থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে আমরা যদি আমাদের কর্ম-পন্থা নির্ধারণ করি, তবে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি হয়ে উঠবে শান্তিময়ও কল্যাণময়। হাজার বছরের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি হবে আরো সুসংহত ও সুদৃঢ়।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইসলামের আদর্শ ও মর্মবাণী সঠিকভাবে প্রচার ও প্রসারের লক্ষ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৫ সালে ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধ শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশনে অনুষ্ঠান শুরু ও সমাপ্তিতে কোরআন তেলওয়াতের ব্যবস্থা করেন। পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.), শবে ক্বদর ও শবে বরাতে সরকারি ছুটি ঘোষণা করেন, মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড পুনঃগঠন ও সম্প্রসারণ করে ইসলামের খেদমতে অসামান্য অবদান রাখেন।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন খাঁটি ঈমানদার মুসলমান হিসেবে ইসলামের প্রচার-প্রসারে সারাদেশে ৫৬৪টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ, হজ ব্যবস্থাপনায় আধুনিকীকরণ ও সুযোগ সুবিধাবৃদ্ধি, মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম, মসজিদ পাঠাগার ও ১০১০টি দারুল আরকাম ইবতেদায়ী মাদরাসা প্রতিষ্ঠা, দাওরায়ে হাদিসকে মাস্টার্সের সমমান ও ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাসহ অনেক কার্যক্রম বাস্তবান করেছেন।
মসজিদ উত তাকওয়া সোসাইটির সভাপতি একেএম রেজাউল হকের সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন সোসাইটির উপদেষ্টা বিচারপতি মমতাজ উদ্দিন আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক এসএম নজরুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে কুরআন তিলাওয়াত করেন বিশ্ব-বিজয়ী হাফেজ জাকারিয়া। সিরাত বিষয়ে আলোচনা করেন- যুক্তরাষ্ট্রের ম্যানহাটন মসজিদের খতিব মাওলানা ইউসুফ আব্দুল মজিদ, মসজিদ উত তাকওয়ার খতিব মাওলানা সাইফুল ইসলাম প্রমূখ।