স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, আইন ও নীতিমালা অনুসারে মানসম্পন্ন শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা না করায় পাঁচটি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। একই সঙ্গে একটি মেডিক্যাল কলেজের অনুমোদন বাতিল করা হয়েছে।
রবিবার সংসদে জাতীয় পার্টির সদস্য মসিউর রহমান রাঙ্গার টেবিলে উপস্থাপিত তারকা চিহ্নিত এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ কথা জানান।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে বর্তমানে মোট ৭৬টি (এর মধ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পরিচালিত পাঁচটি) বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ রয়েছে। এগুলোর মধ্যে সংশ্লিষ্ট আইন ও নীতিমালা অনুসারে মানসম্পন্ন শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা না করায় পাঁচটি মেডিক্যাল কলেজের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। একটি মেডিক্যাল কলেজের অনুমোদন বাতিল করা হয়েছে।
কার্যক্রম স্থগিত হওয়া বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজগুলো হলো– নাইটিংগেল মেডিক্যাল কলেজ (আশুলিয়া), নর্দান ইন্টারন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ (ঢাকা), নর্দান প্রাইভেট মেডিক্যাল কলেজ (রংপুর), আইচি মেডিক্যাল কলেজ (উত্তরা) এবং শাহ মখদুম মেডিক্যাল কলেজের (রাজশাহী)। এ ছাড়া বাতিল করা হয়েছে কেয়ার মেডিক্যাল কলেজের অনুমোদন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও ডেন্টাল কলেজ আইন, ২০২২ এবং বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ স্থাপন ও পরিচালনা নীতিমালা ২০১১ (সংশোধিত) অনুযায়ী গঠিত কমিটির মাধ্যমে মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষার মান তদারক করা হয়। বর্ণিত বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজসমূহে সরকারের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ রয়েছে।নিয়ন্ত্রণের অংশ হিসেবে মানসম্পন্ন শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করতে না পারায় এসংক্রান্ত নীতিমালা অনুযায়ী গঠিত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে পাঁচটি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থী ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। একটি মেডিক্যাল কলেজের অনুমোদন বাতিল করা হয়েছে।
এর আগে বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ পরিচালনা নীতিমালার ব্যত্যয় ঘটিয়ে অতিরিক্ত শিক্ষার্থী ভর্তি করায় প্রতি শিক্ষার্থীর জন্য পাঁচ লাখ টাকা করে জরিমানা আদায় করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা করা হয়েছে।