শিক্ষকদের পেশা হচ্ছে মহান পেশা। কিন্তু একজন শিক্ষক যে এরকম নির্লজ্জ-মিথ্যাবাদী হতে পারে তা মির্জা ফখরুলকে না দেখলে জাতি কখনো বিশ্বাস করত না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ। তিনি বলেন, প্রকাশ্যে ২১ আগস্টের ঘটনা ঘটেছে। সেখানে রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়েছিল।
অথচ তাদের ভাষ্য, সেদিন নাকি সমাবেশ ছিল মুক্তাঙ্গণে, আমরা নাকি তড়িঘড়ি করে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে এসে নিজেরা গ্রেনেড হামলা ঘটিয়েছি?
বুধবার (২৩ আগস্ট) রাজধানীর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ‘বঙ্গবন্ধুর রক্তের ঋণ : স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বঙ্গবন্ধুকন্যার অঙ্গীকার’ শীর্ষক আলোচনা-সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে নীলদলের সভাপতি অধ্যাপক ড. নূরে আলম আবদুল্লাহর সভাপতিত্বে আলোচক হিসেবে ছিলেন নীলদলের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ড. জাকারিয়া মিয়া ও অধ্যাপক ড. আশরাফ উল আলম। এ ছাড়া প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আইন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মেফতাহুল হাসান।
মাহবুবুল আলম হানিফ বলেন, ১৯ আগস্ট দেশের সকল দৈনিকে বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রচার করা হয়েছে সমাবেশ কোথায় হবে।তারপরও কোনো লজ্জায় এভাবে মিথ্যাচার করে তারা? তারা জাতিকে কি এতটাই অন্ধ মনে করে? মুর্খ মনে করে? আসলে সে নিজেই নির্লজ্জ মিথ্যাবাদী ও মূর্খ মিথ্যাবাদী।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে শুধু বঙ্গবন্ধুকে নয় বরং আমাদের জাতিসত্ত্বাকে হত্যা করা হয়েছে।তাঁকে হত্যার মাধ্যমে যে জাতিকে বিভাজিত করা হয়েছে, যার ফলে এদেশের উন্নয়ন বারবার হোঁচট খেয়েছে। মুখ থুবড়ে পড়ছে। যতদিন বাঙালি জাতি এই হত্যার বিচার না পাবে ততদিন বাঙালির জাতির বিভাজন দূর হবে না।
জিয়াউর রহমান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান মুক্তিযোদ্ধার নামে পাকিস্তানের ছদ্মবেশী এজেন্ট ছিলেন।
আমি সিলেটে বহু সমাবেশ করেছি। তাদের জিজ্ঞেস করেছি আপনারা কেউ কি দেখেছেন? এখানে তিনি কি যুদ্ধ করেছেন? জিয়াউর রহমান যে এজেন্ট ছিলেন তার প্রমাণ তিনিই ক্ষমতায় এসে দিয়েছেন। তিনি ৪ জন রাজাকার নিয়ে মন্ত্রীসভা গঠন করেছেন।
আয়োজনে বিশেষ অতিথি বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক কামাল উদ্দীন আহমদ বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ২৫ মার্চ নিয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন তার সমালোচনা করে বলেন, এই নেতৃত্ব যদি বাংলাদেশে আসে তাহলে দেশের কি অবস্থা হবে তা আমরা বুঝতেই পারি। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় নীলদল একত্রিত হয়ে কাজ করলে কোনো বিরোধী শক্তি মাথাচারা দিয়ে উঠতে পারবে না।
মুখ্য আলোচক হিসেবে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, আমাদের দেশকে পিছিয়ে নেওয়ার জন্য ষড়যন্ত্র চলছেই। পাকিস্তানের পক্ষে যারা ছিল তারা এখনও রাজনীতির বিভিন্ন অঙ্গনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। আগামী নির্বাচনকে নিয়ে এ ষড়যন্ত্রের মাত্রা আরো বেড়ে যাবে। সেজন্য আমাদের সচেতন থাকতে হবে।