‘মিছিল কইরেন না, নামাজ চলতেছে’ বলায় মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও বর্তমান এমপি অ্যাড. মৃণাল কান্তি দাস অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন, যা থেকে বাদ পড়েনি পবিত্র নামাজ শব্দটিও। তার এমন একটি গালিগালাজের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে গতকাল সন্ধ্যার পর। ভিডিওতে দেখা যায়, গত সোমবার মিছিল সহকারে মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে প্রবেশের আগ মুহূর্তে একজন ব্যক্তির মন্তব্যের পর এমপি সেই ব্যক্তিকে গালিগালাজ ও হুমকি দিচ্ছেন। সোমবার রাত থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও ভাইরাল হয়।
মৃণাল কান্তি দাস কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক। তিনি মুন্সীগঞ্জ-৩( গজারিয়া-সদর) আসন থেকে ২০১৪ সালে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এবং ২০১৮ সাল মিলে পরপর দুই বার সংসদ সদস্য হয়েছেন।
এদিকে, মৃণাল কান্তি দাসের আচরণকে ‘ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত’ বলে অভিহিত করেছেন কাঁচি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও মুন্সীগঞ্জ আওয়ামী লীগের জেলা সভাপতি মোহাম্মদ মহিউদ্দিনের বড় ছেলে মোহাম্মদ ফয়সাল। তিনি বলেন, মসজিদে আসরের নামাজ চলছিল। প্রতীক বরাদ্দের পর আমি জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সংলগ্ন মসজিদে নামাজ পড়তে গিয়েছিলাম। সে সময় নৌকার প্রার্থী মৃণাল কান্তি দাস তার লোকজন নিয়ে মিছিল করতে করতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের দিকে যাচ্ছিলেন। মসজিদের কাছাকাছি আসলে পাশ থেকে একজন ফেরিওয়ালা নামাজ চলছে বলে মিছিল করতে নিষেধ করেন। মৃণাল কান্তি দাস জানতেন আমি মসজিদে আছি। তাই আমাকে উদ্দেশ করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। আমাকে হুমকি দিয়েছেন। তিনি মুসলিমদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়েছেন। আমি তার এমন আচরণের জন্য নিন্দা জানাই।
ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর থেকে তীব্র ক্ষোভ আর সমালোচনা দেখা যায় নেটিজেনদের মাঝে। সোশ্যাল মাধ্যমে অনেকেই এই ঘটনাকে ধর্ম চর্চার স্বাধীনতার উপর হস্তক্ষেপ এবং চরম ধৃষ্টতা হিসেবে উল্লেখ করেন।
তবে বিষয়টি অস্বীকার করেছেন মৃণাল কান্তি দাস। তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমার কোনও সম্পৃক্ততা নেই। দুর্ভাগ্যজনক! এ রকম কথা আমার মুখে উচ্চারিত হয় নাই।