এবারের মেলায় কোনো ধরনের বক্তব্য বা উস্কানিমূলক বই প্রকাশ করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার (ডিএমপি) খন্দকার গোলাম ফারুক। তিনি বলেছেন, এবারের বইমেলায় যাতে উস্কানিমূলক কোনো ধরনের বক্তব্য বই প্রকাশ না করা হয়, সেজন্য আমরা মিটিং করেছি। বাংলা একাডেমি থেকে শুরু করে পাঠ্যপুস্তক ব্যবসায়ী লেখক যারা আছেন সবাই নজর রাখছে।
বইমেলা শুরুর আগের দিন মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে মেলার সার্বিক নিরাপত্তা কার্যক্রম ঘুরে দেখার পর গণমাধ্যমের সামনে তিনি এসব কথা বলেন।
ঢাকা মহানগর পুলিশ প্রধান বলেন, আমরা এবার সাইবার মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা রেখেছি। এই সাইবার মনিটরিংয়ের ব্যবস্থায় থাকবে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ ও কাউন্টার টেরোরিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট টিমের সদস্যরা। সাইবার মনিটরিংয়ের মাধ্যমে যদি আমরা লক্ষ্য করি যেকোনো ধরনের বক্তব্য আসলে বা বই প্রকাশ হয়েছে তখন আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
পাঠ্যপুস্তক ব্যবসায়ীদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে গোলাম ফারুক বলেন, আপনারা রাত দশটা থেকে সকাল সাতটার মধ্যে বইয়ের গাড়ি প্রবেশ করাতে পারবেন। এরপর আর কোনো গাড়ি প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। এজন্য সকলকে অনুরোধ করব এই সময়ের মধ্যে আপনারা গাড়ি প্রবেশ করিয়ে মালামাল খালি করে তা সরিয়ে নেবেন।
বইমেলার নিরাপত্তার পুলিশের সর্বাত্মক প্রস্তুতির কথা জানিয়ে তিনি মেলা নির্বিঘ্ন করতে সবার সহযোগিতা চান। ডিএমপি কমিশনার বলেন, বইমেলার বিভিন্ন প্রকাশনী মালিক এবং বাংলা একাডেমি ছাড়াও সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে কথা বলে নিরাপত্তার নিয়ে কথা বলেছি। এজন্য তাদের সবার সহযোগিতা চেয়েছি।
‘আশা করছি যে সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারব। তবে যারা বইমেলায় আসবেন তারা যদি সুশৃঙ্খলভাবে বইমেলায় প্রবেশ করে তাহলে আমাদের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা সফল হবে।’-বলেন ডিএমপি কমিশনার।