ইউর্গেন ক্লপের চক্রপূরণ! লিভারপুলের অপেক্ষার অবসান। ক্লাব ইতিহাসের সবচেয়ে দামী সাইনিং ডারউইন নুনেজের গোল। প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী ম্যানচেস্টার সিটিকে হারিয়ে মৌসুমের প্রথম ম্যাচেই শিরোপা! লিভারপুলের আজকের ম্যাচটাকে স্মরণীয় করে রাখতে অবশ্য এত কিছুর দরকার নেই। শুধু বলা দরকার, ম্যানসিটিকে হারিয়ে ১৬ বছর পর কমিউনিটি শিল্ড জিতেছে লিভারপুল।
ম্যাচ শুরুর আগে লিভারপুল বস ইউর্গেন ক্লপ বলেছিলেন, এটা এমন এক ম্যাচ, যেখানে জিতলে অনেক কিছুই। আবার হারলে এই শিরোপা মূল্যহীন। তবে দুই দলের স্কোয়াড দেখে তেমন মনে হয়নি মোটেই। পূর্ণ শক্তির দলই নামিয়েছিলেন দুই মাস্টারমাইন্ড ট্যাকটিশিয়ান ইউর্গেন ক্লপ আর পেপ গার্দিওলা। বিগত ৪-৫ মৌসুমে এই দুজনেই যে জমিয়েছেন লিগ। প্রতিপক্ষকে তাই ছাড় দেয়ার প্রশ্নই আসেনি।
ম্যাচের শুরুতেই অবশ্য ভয় ছড়িয়েছে লিভারপুল। আক্রমণে ক্লাব ইতিহাসের সবচেয়ে দামী সাইনিং ডারউইন নুনেজ ছিলেন না। তবে অভিজ্ঞ ফিরমিনো ছিলেন। সাদিও মানে নেই, বামপাশের দায়িত্ব তাই লুইজ দিয়াজের উপরেই বর্তে। আর ওপাশে ম্যানসিটির নাম্বার নাইন হয়ে নেমেছিলেন হালের সেনসেশন আর্লং হ্যালান্ড। রাহিম স্টার্লিং না থাকায় শুরুতেই ছিলেন জ্যাক গ্রিলিশ। তবে হালান্ড জাদু দেখা গেলো না। বরং উজ্জ্বল ছিলেন সালাহ! পুরো ম্যাচেই সিটিজেনদের মাথাব্যাথার কারণ ছিলেন এই মিশরীয়। ২০ মিনিটে তারই পাস থেকে দুর্দান্ত বাঁকানো শটে গোল করেন ট্রেন্ট আলেকজান্ডার আর্নল্ড। বিরতির আগে ম্যানসিটি বেশ কবার আক্রমণে গেলেও সেই গোল আর শোধ করা হয়নি।
বিরতির পরে অবশ্য কিছুটা নড়ে বসে পেপ গার্দিওলা শিষ্যরা। দুই পর্তুগিজ হোয়াও ক্যান্সেলো আর বার্নার্দো সিলভা রীতিমতো নাচিয়েছেন লিভারপুলের রক্ষণভাগকে। যদিও এর ফলাফল এসেছিলো আরেন নতুন সাইনিং এর হাত ধরে। জুলিয়ান আলভারেজকে এই ম্যাচে বদলি করেছিলেন পেপ গার্দিওলা।
ম্যানসিটিকে ম্যাচে ফিরিয়েছেন তিনিই। ফিল ফোডেনের ভলি ভালোভাবেই ফিরিয়েছিলেন লিভারপুলের বদলি গোলরক্ষক আদ্রিয়ান। ফিরতি বলে জটলার মাঝ থেকে গোল করেন তরুণ আর্জেন্টাইন আলভারেজ। রেফারি প্রথমে অফসাইডের ডাক দিলেও বাতিল হয় তা।
ম্যাচের এরপর কেবলই লিভারপুলের। ডারউইন নুনেজ মাঠে নেমেই সুযোগ মিস করেছেন। কখনো সালাহ কিংবা আর্নল্ডের বল বাঁধা পেয়েছে সিটিজেন রক্ষণে। তবে কাঙ্ক্ষিত লিড ঠিকই পায় লিভারপুল। নুনেজের হেড রুবেন ডিয়াসের হাতে লাগলে পেনাল্টি পায় অলরেডরা। গোল করে নতুন মৌসুমের সূচনা করেন লিভারপুলের সুপারস্টার মোহাম্মদ সালাহ।
লিভারপুলের শেষ গোলেও ছিলো সালাহর দারুণ ভিশন। যেভাবে রবার্টসনের দিকে ক্রস করেছেন, তাতে কাজটা সহজই ছিলো। তবু রবার্টসন ফিরতি হেড করেছেন। তাতে দারুণভাবে মাথা ছুঁইয়ে ৩-১ গোলের জয় নিশ্চিত করেছেন ডারউইন নুনেজ।