সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা এবং জুলাই বিপ্লবে শহীদ আবু সাঈদকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করে আলোচনায় উঠে আসেন লালমনিরহাটের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাপসী তাবাসসুম উর্মি। তার বিচারের দাবিতে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করন। এবার এই ম্যাজিস্ট্রেটকে গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনার দাবি তুলেছেন জাতীয়তাবাদী কৃষকদলের নেতা শহিদুল ইসলাম বাবুল।
কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন,
“এই সরকার ও প্রফেসর ইউনূসের বক্তব্যেকে সমালোচনা করে ‘কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গেছে’ ফেসবুক পোস্ট ও অডিও কলে এমন বক্তব্য দিয়েছেন লালমনিরহাটের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাপসী তাবাসসুম উর্মি। এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে এই ম্যাজিস্ট্রেট লিখেছে, ‘সাংবিধানিক ভিত্তিহীন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, রিসেট বাটনে পুশ করা হয়েছে। অতীত মুছে গেছে। রিসেট বাটনে ক্লিক করে দেশের সব অতীত ইতিহাস মুছে ফেলেছেন তিনি। এতই সহজ! কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গেছে আপনার, মহাশয়।’ তাপসী তাবাসসুম উর্মি জানিয়েছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের এক বক্তব্যের জের ধরে তার এই প্রতিক্রিয়া।”
ওই ম্যাজিস্ট্রেটের বক্তব্য তুলে ধরে তিনি বলেন, “জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধ মীমাংসিত সত্য আর জুলাই গণহত্যা, তদন্ত সাপেক্ষ, মীমাংসিত সত্য না। এখন পর্যন্ত প্রমাণিত হয়নি।’ এই সরকারেরও নাকি সাংবিধানিক ভিত্তি নাই। শুধু তাই না, শহীদ আবু সাঈদকেও সে বলেছে সন্ত্রাসী ও বিশৃঙ্খলাসৃষ্টিকারী। কত বড় স্পর্ধা ও ভয়ানক কথা ! অথচ এখনও রক্তের দাগ শুকায় নাই। এই উর্মি যে ফ্যাসিবাদের দোসর এর পরেও কি তার প্রমাণ লাগবে।”
কৃষকদল নেতা আরও বলেন, “এই যে আমাদের মহান ‘মুক্তিযুদ্ধ’ এইটাকে ব্যবহার করে ত্যানা ত্যানা করা এবং যাকে তাকে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী ট্যাগ দিয়ে যে আপনাদের এই ভয়ানক পরিনতি হলো এবং এই তাবাসসুমের মা যে তাদের এতিম করে, দেশ থেকে পালালো- এর পরও কি তাদের শিক্ষা হয় না ?”
বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে ওই ম্যাজিস্ট্রেট শাস্তি দাবি করে তিনি বলেন, “এই বক্তব্য স্পষ্টত জুলাই বিপ্লবকে তাচ্ছিল্য ও শহীদের রক্তের সাথে তামাশা, মোনাফেকী ও গাদ্দারী। অবিলম্বে এই ম্যাজিস্ট্রেটকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে, অবশ্যই দিতে হবে- না হলে এর জন্য আবারও আমরা রাস্তায় নামবো, প্রমিজ।
এই ধরনের তাবাসসুমরা এখনও আমাদের প্রশাসনের পরতে পরতে বহাল তবিয়তে আছে। পর্যায়ক্রমে এদের মুখোশ উন্মোচন করবো। যতক্ষন পর্যন্ত প্রশাসন থেকে এইসব ভাদা ও ফ্যাসিবাদীদের শেকড় উপরে ফেলা না যাবে- ততক্ষণ পর্যন্ত আমার দেশ নিরাপদ না, কোন ভাবেই নিরাপদ না। বাংলাদেশে জিন্দাবাদ।”