বিএনপির চলমান বিভাগীয় গণসমাবেশের পরবর্তী গন্তব্য রংপুর। শনিবার রংপুর কালেক্টরেট ঈদগা মাঠে দলটির কর্মসূচি পালন করার কথা রয়েছে। তবে এই সমাবেশের দু’দিন আগে রংপুর জেলার সকল রুটের বাস-মিনিবাস, ট্রাক ও মাইক্রোবাস চলাচল বন্ধের যৌথভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে রংপুর জেলা মটর মালিক সমিতি, ট্রাক মালিক সমিতি ও কার-মাইক্রোবাস মালিক সমিতি।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রংপুর জেলা মটর মালিক সমিতির সভাপতি একেএম মোজাম্মেল হক বিষয়টি নিশ্চিত করছেন। মহাসড়কে থ্রি-হুইলার, নসিমন, করিমনসহ লাইসেন্সবিহীন ও অন্যান্য অবৈধ যান চলাচল বন্ধের দাবিতে শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে শনিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চলবে এ ধর্মঘট।
জেলা মটর মালিক সমিতির সভাপতি একেএম মোজাম্মেল হক জানান, রংপুর জেলা মটর মালিক সমিতির কার্যালয়ে রংপুর জেলা মটর মালিক সমিতি, ট্রাক মালিক সমিতি এবং কার-মাইক্রোবাস মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দের উপস্থিতি একটি যৌথ জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সকলের সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত হয় যে, মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে’ মহাসড়কে থ্রি-হুইলার, নসিমন, করিমনসহ লাইসেন্সবিহীন ও অন্যান্য অবৈধ যান চলাচল বন্ধ এবং রংপুর-কুড়িগ্রাম রুটে প্রশাসনিক হয়রানির প্রতিবাদে আগামী ২৮ অক্টোবর শুক্রবার ভোর ৬টা থেকে ২৯ অক্টোবর শনিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত রংপুর জেলার সকল রুটের বাস-মিনিবাস, ট্রাক, মাইক্রোবাস চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
এদিকে ২৯ অক্টোবর শনিবার রংপুর কালেক্টরেট ঈদগা মাঠে বিএনপির গণসমাবেশকে বাধাগ্রস্ত করতে সরকারের নির্দেশে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন বিএনপি নেতারা।
তারা জানান, এমন ধর্মঘটের আশঙ্কা করে আগে থেকেই রংপুর কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠে বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে বিএনপি’র নেতাকর্মীরা আগাম আসতে শুরু করেছেন।
উল্লেখ্য, জ্বালানি তেল, চাল-ডালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি, নেতাকর্মীদের হত্যা, হামলা ও মামলার প্রতিবাদে এবং দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি, নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে সারা দেশের দশ বিভাগীয় শহরে গণসমাবেশের ডাক দেয় বিএনপি।
এর মধ্যে চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও খুলনায় বিএনপির সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় ২৯ অক্টোবর রংপুর কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠে চতুর্থ গণসমাবেশের আয়োজন করেছে দলটি।
বিএনপির নেতাকর্মীদের অভিযোগ, সমাবেশে লোকসমাগম ঠেকাতেই সরকারের প্ররোচনায় এসব ধর্মঘট ডাকা হচ্ছে। তবে এসব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে সরকার পক্ষ বলছে, বিএনপির অতীতের নানা কর্মসূচিতে বাসে আগুন ও ভাঙচুরের ভয়ে মালিকরা বাস বন্ধ রাখছেন, এতে সরকারের হাত নেই।
রংপুর বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলু সাংবাদিকদের জানান, আমরা আশঙ্কা করছিলাম, সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন বাধা আসবে। কারণ এর আগেও সেটা হয়েছে। এ কারণে সমাবেশের দুদিন আগ থেকেই মানুষজন রংপুরে আসতে শুরু করেছে। সমাবেশ সফল হবে।