আলোচিত ও সমালোচিত হক গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সদ্য বহিষ্কৃত সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তর তাঁতী লীগের প্রধান উপদেষ্টা ব্যবসায়ী আদম তমিজী হক সম্প্রতি ফেসবুক লাইভে এসে দলীয় শৃঙ্খলা বিরোধী কথাবার্তা ও বাংলাদেশের পাসপোর্ট পুড়িয়ে ফেলার কারণে দেশে আলোচনার তুঙ্গে রয়েছেন। গত কিছুদিন ধরে ধারাবাহিকভাবে তাঁর দেয়া একের পর ফেসবুক পোস্ট ও লাইভ ভিডিও নিয়ে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা।
মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) এক ভিডিও পোস্টে আদম তমিজী হক বলেন, ‘যতো দিন শেখ হাসিনা, অথবা সজীব ওয়াজেদ জয় অথবা পুতুল আপা এবং আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকে হকের ব্যবসা কোনো দিন বাংলাদেশের মাটি থেকে উঠবে না। আপনার যদি হককে চান আপনারা আওয়ামী লীগকে ভোট দিবেন।’ এর আগে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী এবং তার চাচাকে জড়িয়ে আদম তমিজী হকের একাধিক ফেসবুক স্ট্যাটাসে টঙ্গী-গাজীপুরে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়।
তমিজী হকের অভিযোগ-গাজীপুর-২ আসনের সংসদ-সদস্য, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল ও তার চাচা মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা মতিউর রহমান মতির লুটপাটের কারণে ঐতিহ্যবাহী শিল্প প্রতিষ্ঠান হক গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ মুখ থুবড়ে পড়েছে।
তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আওয়ামী লীগের স্থানীয় প্রভাবশালী নেতারা অবৈধ হস্তক্ষেপ, লুটপাট ও কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করেছেন।
তিনি বলেন, তারা (প্রভাবশালী আ.লীগ নেতারা) আমাদের হাজার কোটি টাকার সম্পদ লুটপাট করেছেন। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে শনিবার টঙ্গীতে হক বিস্কুট ফ্যাক্টরিতে তার সংবাদ সম্মেলন করার কথা ছিল। কিন্তু তিনি কারখানাতেই যাননি।
শনিবার আরেক ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘আর বাকি কিছু নেই, শ্রমিক, ব্যাংকস এবং সরবরাহকারীদের টাকা জাহিদ আহসান রাসেলের কাছে আছে। উনার থেকে বুঝে নিবেন। আমি সৌদি যাচ্ছি। তারপর আমার জন্মভূমি ইউকে চলে যাচ্ছি। বাদশাহী দীর্ঘজীবী হোক।’
আদম তমিজী হক শনিবার সন্ধ্যায় ফেসবুক লাইভে এসে বলেন, ‘আমার ফ্যামিলির যদি কিছু হয়, আপনারা দয়া করে খুঁজবেন কারা করছে। আর আমি এই কথাটা বলে রাখব, আওয়ামী লীগের মতো নিকৃষ্ট দলকে আপনারা ভোট দিবেন না। বাই; বাই; বাংলাদেশ, আপনারা অনেক সুখে থাকবেন আওয়ামী লীগকে নিয়ে। এ দেশের জন্য আমি প্রযোজ্য নাগরিক না, আমি ব্রিটিশ, আই বর্ন ইন ইংল্যান্ড, আই রিটার্ন টু মাই কান্ট্রি।’
শুক্রবার রাতে বিদেশে অবস্থানকালে আদম তমিজী হক ফেসবুক লাইভে এসে বলেন, ‘শুভ বিকাল, আমার কারখানা থেকে বেআইনিভাবে জিনিসপত্র নিয়ে যাওয়া হয়েছে। যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলের বাবা একজন ভালো মানুষ ছিলেন, তিনি আমার বাবার বন্ধু। প্রতিমন্ত্রী রাসেল, তার চাচা মতিউর রহমান মতি ও স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর নূরু আমার প্রতিষ্ঠান থেকে বেআইনিভাবে টাকা-পয়সা নিতেন। তারা এ পর্যন্ত আমার ১ হাজার কোটি টাকা লুট করেছেন।’