মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন তেল আবিবে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠক করেছেন। আলোচনা শেষে যৌথ বিবৃতিতে তিনি বলেন, যতদিন আমেরিকা থাকবে ততদিন ইসরায়েলকে একা লড়াই করতে হবে না।
আলোচনা শেষে প্রথম বিবৃতি দেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু।
এর পরের বক্তৃতায় ব্লিঙ্কেন বলেন, তিনি ইসরায়েলে ফিরে আসার জন্য আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ। অবিশ্বাস্যভাবে এই জাতির জন্য এটি কঠিন মুহূর্ত কিন্তু প্রকৃতপক্ষে সমগ্র বিশ্বের জন্যও কঠিন সময়।
তিনি বলেন, ‘আমি ইসরায়েলের কাছে যে বার্তাটি নিয়ে এসেছি তা হল—আপনি নিজেকে রক্ষা করার জন্য নিজের পক্ষে যথেষ্ট শক্তিশালী হতে পারেন, তবে যতদিন আমেরিকা থাকবে, আপনাকে কখনই একা লড়তে হবে না। আমরা সবসময় আপনারদের পাশে থাকব।’
জাতীয় জরুরি সরকার গঠনকে স্বাগত জানিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা আমাদের কথা দিয়ে যাচ্ছি। অন্যান্য প্রতিরক্ষা সামগ্রীসহ আয়রন ডোমের জন্য গোলাবারুদ ইন্টারসেপ্টর সরবরাহ করা হবে। মার্কিন সামরিক সহায়তার প্রথম চালান ইতিমধ্যে ইসরায়েলে পৌঁছেছে এবং আরও কিছু চালান আসছে। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষার প্রয়োজনীয়তা যত বৃদ্ধি পাবে আমরা সেগুলো পূরণ করব। ইসরায়েলের নিরাপত্তার জন্য আমাদের কংগ্রেসে অপ্রতিরোধ্য দ্বিদলীয় সমর্থন রয়েছে।
একজন ইহুদি হিসেবে নিজের গল্প বলেছেন ব্লিঙ্কেন। তিনি তার পিতামহ যেভাবে রাশিয়ার পোগ্রোম থেকে পালিয়ে যান এবং তার সৎ বাবা হলোকাস্টে বন্দী শিবিরে যেভাবে বেঁচে ছিলেন সে গল্প বলেছেন।
অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগত জায়গা থেকে বুঝতে পারি যে হামাসের গণহত্যা ইসরায়েলি ইহুদিদের বিরুদ্ধে, প্রকৃতপক্ষে ইহুদিদের জন্য সর্বত্র বহন করে এমন বেদনাদায়ক প্রতিধ্বনি। আমিও আপনাদের সামনে এসেছি একজন স্বামী এবং ছোট শিশুদের বাবা হিসেবে। কিবুৎজ নির ওজে তাদের বাড়িতে আশ্রয় নেওয়ার সময় মা, বাবা এবং তিনটি ছোট বাচ্চা নিহত হওয়ার মতো পরিবারের ছবি দেখে আমার নিজের সন্তানদের কথা না ভেবে থাকা আমার পক্ষে অসম্ভব।’
হামাসের কর্মকাণ্ডকে তিনি আইএসের সঙ্গে তুলনা করে বলেন, এটি ছিল হামাসের বর্বরতা এবং অমানবিকতার অগণিত সন্ত্রাসী কর্মের মধ্যে একটি যা আইএসআইএস-এর সবচেয়ে খারাপ সময়ের কথা মনে করিয়ে দেয়।