শিবলী রহমান শিপু, সিরাজগঞ্জ
যমুনায় পানি বাড়ায় সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় দেখা দিয়েছে তীব্র ভাঙন। টানা কয়েক দিনের ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে প্রায় অর্ধশত বসতবাড়ি, মসজিদ, খামার, ফসলি জমি ও গাছপালাসহ অসংখ্য স্থাপনা।
রাক্ষসী যমুনায় ভিটেমাটি গিলে খাওয়ার এসব দৃশ্য নীরবে চেয়ে চেয়ে দেখা ছাড়া আর কিছুই যেন করার নেই অসহায় মানুষগুলোর। ভাংনের ফলে অনেকেই সহায়সম্বল ও পরিবার-পরিজন নিয়ে চলে যাচ্ছেন অন্যত্র।
জেলার নদী তীরবর্তী শাহজাদপুর ও এনায়েতপুরের জালালপুর, আরকান্দি, ব্রাহ্মণগ্রাম, বাঐখোলা, পাকুরতলা, ঘাটাবাড়ি ও পাঁচিলসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের অধিকাংশই বিলীন হয়েছে নদীগর্ভে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সঠিক সময়ে পদক্ষেপ না নেয়ায় এ ভাঙন দেখা দিয়েছে আর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাফিলতির কারণে বারবার দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।
তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, জরুরি ভিত্তিতে সব ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। নদীর তীর সংরক্ষণের কাজ চলমান রয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে নদীতে ফেলা হচ্ছে বালুভর্তি জিও ব্যাগ।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম বলেন, প্রায় ২ কিলোমিটার এলাকায় জিও ব্যাগের মাধ্যমে ভাঙন প্রতিরোধ করতে সমর্থ হয়েছি। এছাড়া শাহজাদপুরের দিকে সাড়ে ৭ কিলোমিটারের মধ্যে সাড়ে ছয় কিলোমিটার জিও ব্যাগের মাধ্যমে প্রতিরোধ করেছি।