আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি এই রাষ্ট্রকে ধ্বংস করেছে,এই রাষ্ট্রের গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। যারা নষ্ট রাজনীতি করে, তারা রাষ্ট্র মেরামত করতে পারে না, উল্টো রাষ্ট্রকে ধ্বংস করে।
শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর শ্যামলী স্কয়ার প্রাঙ্গণে বিএনপি-জামায়াতের দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র, নৈরাজ্য ও অপপ্রচারের প্রতিবাদে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আজ ঢাকা মিছিলের নগরী। সারা ঢাকায় আওয়ামী লীগ প্রস্তুত আছে। জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে, ভোট চোরদের বিরুদ্ধে আমরা প্রস্তুত। বিএনপির বিরুদ্ধে আমরা প্রস্তুত। তাদের রুখতে হবে, জঙ্গিবাদ রুখতে হবে, স্বাধীনতাবিরোধীদের রুখতে হবে।
এ সময় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রশ্ন রেখে বলেন, তারা বলে রাষ্ট্র মেরামত করবে। বিএনপি এই রাষ্ট্রকে ধ্বংস করেছে, রাষ্ট্রের গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে, রাষ্ট্রের স্বাধীনতার আদর্শকে ধ্বংস করেছে, রাষ্ট্রের অর্থ পাচার করেছে। এই ষড়যন্ত্রকারীরা রাষ্ট্র মেরামত করবে?
বিএনপি বুদ্ধিজীবীদের মাধ্যমে ফখরুলের মুক্তি চায়, ভালো। ফখরুল তাদের বন্ধু। তাদের শুভাকাঙ্ক্ষী। তিনি অসুস্থ, আমরা জানি না। বুদ্ধিজীবীরা বিবৃতি দিয়ে বলছেন তিনি নাকি অসুস্থ।
বুদ্ধিজীবী সমাজের বিবৃতি নিয়ে কাদের প্রশ্ন রেখে বলেন, এই বাংলাদেশে যখন ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে হত্যা করা হয়েছিল, তখন কি আপনারা বিবৃতি দিয়েছিলেন? বঙ্গবন্ধুকে হত্যার সময় আপনাদের মুখের ভাষা কোথায় ছিল? আমি জানতে চাই, কোথায় ছিল প্রতিবাদ, জাতীয় চার নেতাকে জেলখানায় হত্যা করা হলো, কোথায় ছিল আপনাদের প্রতিবাদ। আহসানউল্লাহ মাস্টারকে যখন প্রকাশ্যে হত্যা করা হয়েছিল, তখন কি প্রতিবাদ করেছিলেন?
তিনি বলেন, জঙ্গিবাদ রুখতে হবে।স্বাধীনতাবিরোধীদের রুখতে হবে। হাওয়া ভবনের লুটেরাদের রুখতে হবে। তারা (বিএনপি) বলে রাষ্ট্র মেরামত করবে। বিএনপি এই রাষ্ট্রকে ধ্বংস করেছে। এই রাষ্ট্রের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে হত্যা করেছে তারা। এই রাষ্ট্রে অর্থপাচার করেছে বিএনপি। পাঁচ বছরে দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বিএনপি।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক দাবি করেন, বিএনপি জীবনেও মেগা প্রকল্প করতে পারবে না। বিষোদগার লিপ সার্ভিস ছাড়া আপনাদের কি আছে? নির্বাচনের জন্য বাংলার মানুষ আর ভোট দেবে না।
সারা দেশে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা সতর্ক আছে। আমরা কোনও ধরনের সহিংসতায় জড়াব না। তবে আঘাত করা হলে সমুচিত জবাব দেওয়া হবে।
শান্তি সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য লে. কর্নেল (অব) মুহাম্মদ ফারুক খান, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি প্রমুখ।