রাজধানীর বায়তুল মোকাররম এলাকায় আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশ ছেয়ে গেছে ব্যানার। ব্যানার নিয়ে নেতাকর্মীরা সামনে যেতে যেতে সমাবেশ মঞ্চ পর্যন্ত চলে যান। বিভিন্ন এলাকার নেতাদের আনা ব্যানারে ঢাকা পড়ে যায় মঞ্চ। মঞ্চ থেকে নেতারা বারবার বললেও সিনিয়র নেতাদের নির্দেশ না শুনেই এসব ব্যানার নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন নেতারা।
একপর্যায়ে ব্যানার নামানো নিয়ে হুমকি দিয়ে নেতারা বলছেন, খবর আছে, বহিষ্কার করব। এমনকি বলতে বলতে হতাশ হয়ে কেউ কেউ বলছেন, ‘কেউ কথা শোনে না…’।
বুধবার রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ গেটের সামনের শান্তি সমাবেশে এমন ঘটনা ঘটে।
এর আগেও আওয়ামী লীগের সমাবেশে ব্যানার নামানো নিয়ে নেতাদের কাকুতি–মিনতি করতে দেখা গেছে। ব্যানার না নামালে বক্তব্য না দিয়ে চলে যাওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
আজ বুধবার বেলা পৌনে দুইটা থেকে ঢাকা ও এর আশপাশের জেলা থেকে জেলা আওয়ামী লীগ, মহানগর আওয়ামী লীগ, বিভিন্ন থানা– ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা মিছিল নিয়ে সমাবেশে আসেন। প্রতিটি মিছিলে একাধিক ব্যানার দেখা যায়।
সমাবেশে বক্তব্যে মাঝেই বিশৃঙ্খলা করে কেউ কেউ ব্যানার পেছনে রেখে ছবিও তোলেন।
বেলা তিনটার দিকে সমাবেশ শুরু হলে মঞ্চে আসতে শুরু করেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা। সভা শুরু হওয়ার পর থেকে মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ব্যানার নামানোর কথা বলেন।
সমাবেশে বক্তব্যে এ নিয়ে কথা বলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস। তিনি বলেন, ‘আপনারা ব্যানারগুলো নামান, আজকের এই সমাবেশ বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ গেট থেকে নগর ভবন পর্যন্ত বিস্তৃত। আমাদের নেতারা সামনে কিছু দেখতে পাচ্ছেন না। আপনারা ব্যনারগুলো নামিয়ে ফেলুন। দয়া করে ব্যনারগুলো নামিয়ে ফেলুন। আমার সামনে আমার ছবি দিয়ে যারা ব্যানার করেছেন, তারা শিগগিরই নামান।’
এর আগে আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া বক্তব্যের শুরুতেই বলেন, ‘আপনারা মঞ্চকে ব্যানার দিয়ে ঢেকে ফেলেছেন, আপনারা ব্যানার নামিয়ে ফেলুন।’
পরে দলের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম মাইকের সামনে গিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
মির্জা আজম বলেন, ‘এতবার নেতারা বলছেন, তারপরও ব্যানার নামাচ্ছেন না, আপনাদের খবর আছে।’ তিনি বলেন, ‘যারা ব্যানার নামাচ্ছেন না, তাদের খবর আছে, তালিকা করে বহিষ্কার করব, এটা কার ব্যানার, কাউন্সিলরগিরি ছুটিয়ে দিব, রাজনীতি শিখিয়ে দেব, ব্যানার নামান।’
এরপর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ বলেন, ‘আজকে আমাদের শান্তি সমাবেশ, ব্যানারগুলো গুটিয়ে ফেলুন, ব্যানার গুটান। কেউ কথা শোনে না…সাংগঠনিক সম্পাদক বলেছেন বহিষ্কার করবে, তবু কেউ কথা শোনে না। ‘