কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুর রহমানকে চলতি এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস, দায়িত্বে অবহেলা ও অসদাচরণের জন্য সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার(২২ সেপ্টেম্বর) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের এক আদেশে আবদুর রহমানকে সাময়িকভাবে বরখাস্তের কথা জানানো হয়েছে।
অভিযুক্ত শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থার পাশাপাশি কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার সহকারী মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সাজ্জাদ হোসেনকে ভূরুঙ্গামারীতে বদলি করা হয়েছে।
কুড়িগ্রাম জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শামছুল আলম গণমাধ্যমকে বলেন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা না থাকায় আপাতত সাজ্জাদ হোসেনই উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করবেন।
প্রসঙ্গত, এসএসসির পরীক্ষার প্রশ্নপত্রগুলো কেন্দ্রওয়ারী ঠিকমতো এল কি না, তা একজন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নেতৃত্বে কেন্দ্রসচিব ও একজন পুলিশ সদস্যের উপস্থিতিতে বাছাই (সর্টিং) করা হয়। এখানে এই কাজের মূল দায়িত্বে ছিলেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা।
চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষায় দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের অধীন ছয়টি বিষয়ের প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে। এই অপকর্মের নেতৃত্বে ছিলেন একজন কেন্দ্রসচিব, যিনি স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
গত মঙ্গলবার এ ঘটনা ধরা পড়ে। সাথে সাথেই বুধবার চারটি বিষয়—গণিত, পদার্থবিজ্ঞান, কৃষিশিক্ষা ও রসায়নের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। ইতিমধ্যে এসব পরীক্ষার নতুন তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। বাকি দুই বিষয় উচ্চতর গণিত ও জীববিদ্যার পরীক্ষা নতুন প্রশ্নপত্র ছাপিয়ে নির্ধারিত সময়েই নেওয়া হবে।
গত মঙ্গলবার রাতেই প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় ভূরুঙ্গামারী থানায় একটি মামলা হয়। মামলায় উপজেলার নেহাল উদ্দিন পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্রের সচিব মো. লুৎফর রহমান, সহকারী শিক্ষক মো. জোবাইর হোসেন ও মো. আমিনুর রহমান, বিদ্যালয়টির অফিস সহকারী মো. আবু হানিফসহ অজ্ঞাতনামা ১০-১৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এরইমধ্যে কেন্দ্রসচিব লুৎফর রহমান এবং শিক্ষক জোবাইর হোসেন ও আমিনুরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এরপর নতুন করে আরও কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।