বিশ্বকাপে তারুণ্য নির্ভর এক দলই পাঠাচ্ছে বাংলাদেশ। নাজমুল হোসেন শান্ত ওয়ানডে বিশ্বকাপে দুই ম্যাচে দায়িত্ব পেলেও, বৈশ্বিক পর্যায়ে এটাই তার প্রথম অ্যাসাইনমেন্ট। তাসকিন আহমেদ চলতি বছরের বিপিএলে দুর্দান্ত ঢাকার অধিনায়ক হয়েছিলেন। সেটাও অবশ্য কয়েক ম্যাচ যাওয়ার পর।
আর এই তারুণ্যের মিছিলে আছেন এমন ৫ মুখ। যারা কখনোই বিশ্বকাপে যাননি। ওপেনিং ব্যাটার তানজিদ হাসান তামিম, উইকেটরক্ষক জাকের আলী অনিক। দুই স্পিনার তানভীর ইসলাম ও রিশাদ হোসেন এবং পেসাম তানজিম হাসান সাকিব সেই নতুন পাঁচ তারকা। এদের মাঝে তানজিদ তামিম গত ওয়ানডে বিশ্বকাপে খেলেছেন সবকটি ম্যাচ। তানজিম সাকিব সুযোগ পেয়েছিলেন দুই ম্যাচে। আর বাকি তিনজনের এটাই দেশের জার্সিতে প্রথম বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট।
তানজিদ হাসান তামিম বাংলাদেশের উদীয়মান ভরসাদের একজন। ইমার্জিং এশিয়া কাপ দিয়ে জাতীয় দলের রাডারে এসেছিলেন। এরপর সরাসরি বিশ্বকাপে। খুব বড় কিছু করে না দেখালেও নিজের ভেতরে থাকা সম্ভাবনার কথা জানান দিয়েছিলেন ভালোভাবেই।
তানজিম সাকিবের শুরুটাও প্রায় সমসাময়িক। এশিয়া কাপে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের জয়ে ভূমিকা রেখেছিলেন এই পেসার। এরপর বিতর্কের ঝড়ঝাপটা পেরিয়ে বিশ্বকাপ দলে জায়গা করে নিয়েছিলেন। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয়ের ম্যাচে ছিল তার ৩ উইকেট।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ফিনিশার রোলে উত্থান হয়েছে রিশাদ এবং জাকেরের। একজন ছিলেন টি-টোয়েন্টিতে। আরেকজন ওয়ানডেতে। রিশাদ জাতীয় দলের রাডারে ছিলেন লেগস্পিনার হয়ে। এরপর ওয়ানডেতে ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার ওপর ঝড় বইয়ে দিয়ে নিজেকে করে তোলেন অপরিহার্য।
আর জাকেরের উত্থানে অবদান আছে বিপিএলের। ‘ছেলেটা কালো বলে আপনারা হয়ত চোখে দেখেন না’ এমন এক মন্তব্য করে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। এরপর ঠিকই জাকেরের সুযোগ মিলেছে বাংলাদেশ দলে। নিজেকেও প্রমাণ করেছে।
বিপিএলে জাকেরের সতীর্থ হিসেবে ছিলেন তানভীর আহমেদ। এর আগেও খেলেছেন বাংলাদেশের জার্সিতে। তার পারফরম্যান্সটাও নেহাত ফেলনা নয়। স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে ৬১ ইনিংসে বল করে পেয়েছেন ৭৪ উইকেট। ক্যারিবিয়ান পিচে সাকিব আল হাসান এবং শেখ মেহেদীর সঙ্গে তাকে রাখতে ভরসাই পেয়েছেন নির্বাচকরা।