রাজনীতি থেকে অবসরের ইঙ্গিত দিলেন ভারতের সাবেক কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। শনিবার ছত্তিশগড়ের রায়পুরে দলীয় অধিবেশনে তিনি বলেন, ভারত জোড়ো যাত্রার মাধ্যমেই আমার যাত্রা শেষ হতে পারে। এই যাত্রা শেষই আমাকে সবচেয়ে বেশি তৃপ্ত করবে। খবর ইন্ডিয়া টুডের
এ মন্তব্যের পরই দেশটির রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে আলোচনা। বিশ্লেষকদের একাংশের দাবি, এই মন্তব্যের মাধ্যমে রাজনীতি থেকে অবসরের ইঙ্গিত দিয়েছেন সোনিয়া গান্ধী। আগামী বছরের লোকসভা নির্বাচনে সম্ভবত তাঁকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে দেখা যাবে না। যদিও এ নিয়ে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি।
রায়পুরের প্লেনারি অধিবেশনে ছেলে রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’র প্রশংসা করেন সোনিয়া। গত বছরের সেপ্টেম্বরে কন্যাকুমারী থেকে শুরু হওয়া এ পদযাত্রা জানুয়ারিতে জম্মু-কাশ্মীরে শেষ হয়।
ভারত জোড়ো যাত্রার মিছিল দিল্লিতে পৌঁছালে তাতে অংশ নিয়েছিলেন সোনিয়া গান্ধী। তখন ছেলে রাহুল ও মেয়ে প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে পদযাত্রায় হাঁটতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। তিনি বলেন, ভারত জোড়ো যাত্রা ছিল দলের একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড়। এই যাত্রা প্রমাণ করেছে ভারতের জনগণ সম্প্রীতি, সহনশীলতা ও সাম্য চায়।
রাজনীতিতে ঢোকার সময়ের কথা উল্লেখ করে সোনিয়া বলেন, ‘রাজনীতিতে প্রবেশের সেই সময়টাও ছিল খুব চ্যালেঞ্জের। সেটা ছিল কঠিন সময়। আজকের মতোই। এর মোকাবিলায় আমাদের প্রত্যেকের দায়িত্ব রয়েছে। দেশ ও দলের প্রতি সেই বিশেষ দায়িত্ব আমাদের পালন করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘কংগ্রেস শুধু এক রাজনৈতিক দল নয়। আমাদের আঁকড়েই দেশের মানুষ স্বাধীনতা, সাম্য, সৌভ্রাতৃত্ব ও ন্যায়বিচারের লড়াইয়ে অবতীর্ণ। লড়াই খুবই কঠিন। কিন্তু আমার অভিজ্ঞতা বলছে, এই লড়াইয়ে আমাদের জয় হবেই।’