বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সিন্ডিকেট সদস্য ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেছেন, ‘আমাদের তরুণ শিক্ষার্থী কোনোভাবেই বিশ্ববিদ্যালয়ে অপরাজনীতির সম্পৃক্ততা চায় না, ফলে সে জায়গায় তাদের দাবি সেভাবেই পূরণ করতে হবে। কোনোভাবেই রাজনীতির নামে অপরাজনীতির সুযোগ বিশ্ববিদ্যালয়ে যেন না থাকে।’
রোববার (৩১ মার্চ) রাতে বুয়েটে ক্যাম্পাসে চলমান সাম্প্রতিক ঘটনা নিয়ে জানতে চাইলে একটি গণমাধ্যমকে তিনি এ কথা বলেন।
আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ‘আমার মনে হয় বুয়েটে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে অপরাজনীতির বিরুদ্ধে মনোভাব কাজ করছে। কারণ, তাদেরই এক সহপাঠী অন্যান্য সহপাঠীর হাতে হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন।’
ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনাকে রাজনীতির সঙ্গে মেলানো ঠিক হবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, হয়তো হত্যাকারীদের রাজনৈতিক পরিচয় আছে, তবে মূলত এটা (হত্যাকাণ্ড) অপরাজনীতি। অপরাজনীতির কারণে একজন মেধাবী শিক্ষার্থী হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে। তাকে যারা হত্যা করেছে তারাও মেধা-যোগ্যতা নিয়ে ভর্তি হয়। এ ঘটনা বুঝিয়ে দেয়, অপরাজনীতি কী ভয়াবহ। সাধারণ শিক্ষার্থীরা অপরাজনীতির কারণে এটির প্রতিবাদ করছে।
ঢাবির সাবেক এই উপাচার্য বলেন, ‘রাজনীতি থেকে ছেলেমেয়েদের বিচ্ছিন্ন করা হলে তাদের মধ্যে মানবিক গুণাবলি থাকবে না। তারা অমানবিক হয়ে পড়বে। এটা কাম্য নয়। সুষ্ঠু রাজনীতির অভাব বিভিন্ন জায়গায় দেখতে পাই, সেটা শিক্ষার্থীদের মধ্যে রাজনীতিভীতি তৈরি করে। আমরা শিক্ষার্থীদের মানুষ হিসেবে দেখতে চাই, রোবট হিসেবে নয়। একজন শিক্ষার্থী শুধু প্রকৌশল জ্ঞানে শিক্ষিত হবে তা নয়, সতিকার অর্থে ভালো মানুষ হয়ে উঠতে হবে।’
‘শিক্ষক-প্রশাসনকেই শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। যাতে বিশ্ববিদ্যালয় অপরাজনীতির শিকার না হয়, অপরাজনীতির আবর্তে না পড়ে যায়। সেখানেই (আলোচনার মাধ্যমেই) সমাধান নিহিত রয়েছে’, যোগ করেন ঢাবির সাবেক উপাচার্য।