আগামী অর্থবছরে থেকে আয়কর খাতে রাজস্ব আয় বাড়াতে ট্যাক্স রিটার্ন প্রিপেয়ার (টিআরপি) এজেন্ট নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। আয়কর বিবরণী প্রস্তুত ও জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে বেসরকারি এ এজেন্ট করদাতাদের সহযোগিতা করবে।
শনিবার (৩ জুন) রাজধানীর মতিঝিলে চেম্বার ভবনে বাজেট পরবর্তী এক আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান একথা বলেন।যৌথভাবে অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই) এবং গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইন্সটিটিউট (পিআরআই)।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, এটি প্রোগ্রেসিভ ব্যবস্থা। যাকে-তাকে টিআরপি এজেন্ট দেওয়া যাবে না। সাবধানে এটি পরিচালনা করতে হবে। সারাদেশে একবারে টিআরপি নিয়োগ না দিয়ে প্রথমবছর পরীক্ষামূলকভাবে প্রতিটি বিভাগে নিয়োগ দেওয়া যেতে পারে।
২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট সার্বিকভাবে গ্রামীণবান্ধব হয়েছে উল্লেখ করে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, গ্রামের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় ভাতার সংখ্যা ও পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে। পাশাপাশি কৃষিখাতে উৎপাদন বাড়ানোর পদক্ষেপ নেওয়ায় গ্রামীণ অর্থনীতি শক্তিশালী হবে।
আয়কর যোগ্য নয়, এমন টিআইএনধারীদের রিটার্ন দাখিলের সঙ্গে ২০০০ টাকা কর জমাদানের প্রস্তাবের সমালোচনা করেন অর্থনীতিবিদ ড. সাদিক আহমেদ ও আদিব এইচ খান। তারা উভয়েই বলেন, করযোগ্য নয়, এমন ব্যাক্তিদের নিকট থেকে ২০০০ টাকা আদায় করা নৈতিকভাবে ঠিক নয়।
এমসিসিআই-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট হাবিবুল্লাহ এন করিমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আলোচনা অংশ নেন পিআরআই ভাইস চেয়ারম্যান ড. সাদিক আহমেদ, এমসিসিআই পরিচালক আদিব এইচ খান, এমসিসিআই সাবেক সভাপতি আনিস উদ দৌলা, আইসিএবির সাবেক সভাপতি শাহাদাত হোসেন প্রমুখ।
এ অনুষ্ঠানে পিআরআই চেয়ারম্যান ড. জাহিদী সাত্তার ‘বাজেট ২০২৩-২৪ এবং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষিত’ বিষয়ক বিশ্লেষণধর্মী একটি উপস্থাপনা তুলে ধরেন।
এ সময় আলোচকরা বাজেটে করমুক্ত আয়সীমা সাড়ে তিন লাখ টাকা করায় সরকারকে ধন্যবাদ জানান।
গত বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপন করেন।