বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে মিয়ানমারের পক্ষ থেকে গোলাগুলি বন্ধ হওয়ার এক সপ্তাহ পর সোমবার আবার শুরু হয়েছে।
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের ৩৯ ও ৪০ নম্বর পিলারের কাছে বাংলাদেশের রেজু আমতলী সীমান্তে মিয়ানমারের দিকে আবারও গুলিবর্ষণ শুরু হয়ে প্রায়এক ঘণ্টা ধরে চলতে থাকে, এতে স্থানীয়দের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
ঘুমদুম ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান এসএম জাহাঙ্গীর আজিজ ইউএনবিকে জানান, কয়েকদিন ধরে ওই এলাকায় কোনো গুলিবর্ষণ না হলেও সোমবার সন্ধ্যা ৬টার পর হঠাৎ করে তা আবার শুরু হয় এবং সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকায় স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
স্থানীয়রা জানান, গুলির শব্দে সীমান্ত এলাকায় তাদের ঘরবাড়ি কেঁপে ওঠে। তাই জরুরি প্রয়োজন ছাড়া তারা বাড়ির বাইরে বের হচ্ছেন না।
তবে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছেন ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর।
গত দুই মাস ধরে বাংলাদেশের ঘুমধুমের তুমব্রুতে মিয়ানমারের পাশ থেকে গোলাগুলি চলছে। গত ১৬ সেপ্টেম্বর জিরো পয়েন্ট রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ছোড়া মর্টার শেল বিস্ফোরণে মোহাম্মদ ইকবাল নামে এক রোহিঙ্গা শিশু নিহত এবং পাঁচ জন আহত হন।
একই দিনে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে আরেক বাংলাদেশি যুবক গুরুতর আহত হন।
আহত অঙ্গনথোয়াই তঞ্চঙ্গ্যা (২২) উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের বাসিন্দা।