বৃহস্পতিবার, জানুয়ারি ১৬, ২০২৫
Homeআন্তর্জাতিকরোববার থেকে কার্যকর হবে গাজার যুদ্ধবিরতি চুক্তি

রোববার থেকে কার্যকর হবে গাজার যুদ্ধবিরতি চুক্তি

ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডে ১৫ মাসের মর্মান্তিক সহিংসতার পর অবশেষে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সম্মত হয়েছে ইসরায়েল ও হামাস। বুধবার (১৫ জানুয়ারি) রাতে কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান বিন জসিম আল-থানি এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, এই যুদ্ধবিরতি চুক্তি ১৯ জানুয়ারি, রোববার থেকে কার্যকর হবে।

কাতারের প্রধানমন্ত্রী বলেন, “গাজায় যুদ্ধবিরতির চুক্তি কার্যকর হবে রোববার থেকে।” তিনি আরও বলেন, এই চুক্তি সফল বাস্তবায়নের জন্য কাতার, মিশর ও যুক্তরাষ্ট্র একযোগে কাজ চালিয়ে যাবে। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, এই চুক্তি যুদ্ধের অবসান ঘটাবে এবং তার দেশ সেই লক্ষ্য অর্জনে সহযোগিতা করতে থাকবে।

বিবিসির লাইভ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় রাত ১০টার কিছু আগে শেখ মোহাম্মদ এই চুক্তি চূড়ান্ত হওয়ার ঘোষণা দেন।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিবিএস নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়েছে এবং এর আওতায় ইসরায়েলি জিম্মি এবং ফিলিস্তিনি কারাবন্দিদের মুক্তি দেয়া হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও এক পোস্টে এই চুক্তির কথা উল্লেখ করেছেন। তিনি ট্রুথ সোশ্যালে লিখেছেন, “মধ্যপ্রাচ্যে বন্দিদের জন্য আমরা একটি চুক্তিতে পৌঁছেছি। তারা শিগগিরই মুক্তি পাবেন। ধন্যবাদ।”

অন্যদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও কাতারের প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের পর এই চুক্তি সম্পর্কে কথা বলেন। তিনি জানান, শিগগিরই জিম্মিরা তাদের পরিবারের কাছে ফিরে যাবে।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলে হামলা চালায়, যা থেকে ১,২১০ জন নিহত হন এবং ২৪১ জনকে জিম্মি করে নিয়ে যাওয়া হয়। তাদের মধ্যে ৯৪ জন এখনও গাজায় বন্দী। অন্যদিকে, গাজায় ইসরায়েলের হামলায় ৪৬ হাজার ৭০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।

এই ১৫ মাসের সংঘাতে যুদ্ধবিরতির জন্য একাধিক চেষ্টা হলেও তা সফল হয়নি, তবে সম্প্রতি যুদ্ধবিরতির চাপ বাড়তে থাকায় কাতার, মিশর এবং যুক্তরাষ্ট্রের তৎপরতায় শেষ পর্যন্ত এই চুক্তি সই হয়।

কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আল-থানি হামাস ও ইসরায়েলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলাদা আলাদা আলোচনা করে এই চুক্তি নিশ্চিত করেন।

যুদ্ধবিরতি চুক্তির খবর ছড়িয়ে পড়ার পর গাজার বাসিন্দারা আনন্দে মেতে ওঠেন। মধ্য গাজার দেইর আল-বালাহ এবং অন্যান্য অঞ্চলে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে একে অপরকে জড়িয়ে ধরে উল্লাস করেন। অনেকেই এই মুহূর্তটি স্মরণীয় করে রাখতে ছবি তুলতে থাকেন।

spot_img

সর্বশেষ

আরও সংবাদ