একসময় মনে হচ্ছিলো, জয়টা বুঝি সময়ের ব্যাপার। এবাদতের দারুণ স্পেলে ম্যাচটা হাতেই নিয়ে ফেলেছিল বাংলাদেশ। তখনই ব্যান্ডেজ নিয়ে মাঠে ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা। সেই রোহিতকে বাংলাদেশ হয়ত অতখানি ভয় পায়নি। তবে ব্যান্ডেজ হাতেও রোহিত যে অনবদ্য সেটা টের পেলো ক্রিকেটবিশ্ব!
২৮ বলে ৫১। একের পর এক ছয় আছড়ে পড়ছে গ্যালারিতে। কপালের ভাঁজ বাড়ছিলো পুরো দলের। এরমাঝে মাহমুদউল্লাহর ওভারে দুবার ক্যাচ ছেড়েছেন এবাদত এবং বিজয়। শেষ ওভারে মুস্তাফিজও বিবর্ণ। তবে শেষ বলটা করলেন ঠিকঠাক। ১ বলে দরকার ছিল ৬। সেখান থেকেই ম্যাচটা ৫ রানে জিতলো বাংলাদেশ।
মিরপুরে দ্বিতীয় ওডিআইতে প্রথম ব্যাটে নেমেছিলো বাংলাদেশ। আগের ম্যাচের মতোই এবারেও ব্যর্থই বলতে গেলে বাংলাদেশের টপঅর্ডার এবং মিডলঅর্ডার। ৬৯ রানে নেই ৬ উইকেট।
এরপরেই আবারো মিরাজ ম্যাজিক। গত ম্যাচে শেষ উইকেটে ম্যাচ জেতানো মিরাজ এবার খেললেন ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস। দারুণ ব্যাট করে তুলে নিয়েছেন নিজের প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরি। তার ৮৩ বলে ১০০ রানের সাথে দারুণ ইনিংস খেলেছেন অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ। ৯৯ বলে ৭৬ রানের ধীরগতির ইনিংসটা মিরাজকে সঙ্গ দেয়ার জন্য ছিলো মোর দ্যান পারফেক্ট!
বোলিংয়ে বাংলাদেশকে দারুণ শুরু এনে দিয়েছেন এবাদত ও মুস্তাফিজ। দারুণ বোল্ড করে ভিরাট কোহলিকে বোকা বানিয়েছেন এবাদত। ইনসাইড এজে সাজঘরে ফিরেছেন সময়ের সেরা এই ব্যাটার। এরপর শিখর ধাওয়ান ফিরেছেন মুস্তাফিজের বলে। আগের ম্যাচের সেরা ভারতীয় ব্যাটার লোকেশ রাহুল ফিরেছেন মিরাজের বলে।
এরপর অবশ্য বাংলাদেশকে ভুগিয়েছেন স্রেয়াশ আয়ার এবং অক্ষর প্যাটেল। দুজনের জুটি শতরান পেরিয়ে ভারতকে নিয়ে যাচ্ছিল জয়ের কাছে। স্রেয়াশ পরে ফিরেছেন ৮২ রানে। মিরাজের বলে ক্যাচ দেন আফিফকে। আর অক্ষর ফেরেন অর্ধশত করে। ৫৬ রানে সাকিবকে ক্যাচ দেন তিনি। বোলার এবাদত।
উইকেটে তাদের পরে থিতু হতে,পারেননি আর কেউই। জয় যখন সময়ের ব্যাপার, তখনই নয় নাম্বার ব্যাটার হিসেবে ক্রিজে আসেন রোহিত। ভারতীয় অধিনায়ক খেললেন অধিনায়কের মতোই। ২৮ বলে ৫১ রান করে জয়টা প্রায় এনেই দেন দলকে। কিন্তু মুস্তাফিজের শেষের ইয়র্কারে পরাস্ত তিনি। বাংলাদেশ জয় পায় ৫ রানে।