মানবাধিকার সংস্থা ফোরটিফাই রাইটস মালয়েশিয়াকে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ওয়াং কেলিয়ানের ‘মৃত্যু শিবিরে’ পাচারের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের ও মামলায় পুলিশ তদন্তকে ‘ভুলভাবে পরিচালনার’ জন্য মঙ্গলবার দায়ীদের বিচার করার আহ্বান জানিয়েছে।
সংস্থাটি জানিয়েছে, মালয়েশিয়ার সরকার ২০১৫ সালে দেশে আবিষ্কৃত গণকবর ও পাচার শিবির সম্পর্কে ২০১৯ সালের রয়্যাল কমিশন অব ইনকোয়ারি (আরসিআই) এর চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করতে ব্যর্থ হয়েছে। আরসিআই’র চেয়ার এটিকে ‘রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা’ বলে অভিহিত করে।
প্রতিবেদনটি সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছে এবং এখন এটি ফোরটিফাই রাইটসের দখলে আছে।
ফোরটিফাই রাইটসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ম্যাথু স্মিথ বলেন, ‘দেশের মূল অংশীজনদের অনানুষ্ঠানিক অনলাইন প্রতিবেদনটির অপ্রীতিকর উপস্থিতি, পাচারের শিকার রোহিঙ্গাদের জন্য ন্যায়বিচার এবং জবাবদিহিতার চলমান অভাব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।’
যেখানে বলা হয়, ‘আরসিআইয়ের অনুসন্ধানের প্রতিক্রিয়া হিসেবে এবং শিকার রোহিঙ্গা ও তাদের পরিবারকে ন্যায়বিচারের একটি ধারণা দিতে মালয়েশিয়া সরকারকে অবশ্যই ক্ষতিপূরণ প্রদান করতে হবে এবং ওয়াং কেলিয়ানের জঘন্য অপরাধে জড়িত কর্মকর্তাদের বিচার করতে হবে।’
আরসিআই প্রতিবেদন অনুযায়ী, কর্মকর্তারা রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশি পাচারের শিকারদের নির্যাতন ও মৃত্যু রোধ করতে পারতেন এবং সেই সরকারি অবহেলা রোহিঙ্গা মুসলমান ও অন্যান্যদের বিরুদ্ধে নৃশংস অপরাধের জন্য দায়ী মানবপাচারকারী সিন্ডিকেটের শনাক্তকরণ ও সঠিক তদন্তে বাধা সৃষ্টি করে।
ম্যাথু স্মিথ বলেন, ‘মালয়েশিয়ার এখনও কোনো কর্মকর্তাকে দায়বদ্ধ না করার সত্যটি দেশের ইতিহাসে একটি দাগ যা অবশ্যই সংশোধন করা উচিত। মালয়েশিয়ায় রোহিঙ্গা মুসলমানদের পাচার ব্যাপক ও নিয়মতান্ত্রিক ছিল। যা বিচার, জবাবদিহিতা এবং ক্ষতিগ্রস্থ ও তাদের পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণ দাবিদার।’