লক্ষ্ণীপুরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জেলা ছাত্রদলের সভাপতিসহ অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছে। এ সময় কৃষক দলের এক কর্মী নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) দুপুরে এ ঘটনায় পুলিশের ৩০ সদস্যসহ শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন।
জানা গেছে, নিহত ব্যক্তির নাম মো. সজীব। তিনি জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানার কৃষক দলের সদস্য ছিলেন।
এ বিষয়ে জেলা বিএনপির সদস্য সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট হাসিবুর রহমান জানান, শান্তিপূর্ণ বিএনপির পদযাত্রার মিছিল যখন শহরের আধুনিক হাসপাতালের সামনে যায় তখন পুলিশ তাদের ব্যারিকেট দেয়। এসময় নেতাকর্মীরা ব্যারিকেট ভেঙে সামনে গেলে পুলিশ গুলি ও টিয়ারগ্যাস ছোড়ে। এতে বিএনপির প্রায় ১০০ নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়।
তিনি বলেন, গুলিতে সজিব নামে কৃষকদলের এক কর্মী নিহত হয়। আহতদের লক্ষ্ণীপুর সদর হাসপাতালসহ বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
জেলা কৃষক দলের সভাপতি মাহবুব আলম মামুন ও সদর (পূর্ব) উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন ভূঁইয়া বাবু বলেন, তাদের শান্তিপূর্ণ পদযাত্রা কর্মসূচিতে প্রথমে কলেজ রোড এলাকায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়েছে। এরপর রামগতি-লক্ষ্মীপুর সড়কের আধুনিক হাসপাতালের সামনে পুলিশ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা বিএনপির মিছিলে হামলা চালায়। এ সময় পুলিশ বিএনপি নেতাকর্মীর ওপর গুলি ছুড়তে থাকে।
জেলা পুলিশ সুপার মো. মাহফুজ্জামান আশরাফ সদর হাসপাতালে সাংবাদিকদের জানান, বিএনপির নেতাকর্মীরা ব্যারিকেট ভেঙে আধুনিক হাসপাতালের সামনে দিয়ে হাইওয়ে সড়কে যাওয়ার সময় পুলিশ বাধা দেয়। এসময় বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এ ঘটনায় পুলিশের কর্মকর্তাসহ ৩০ জন সদস্য আহত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ৪৫ মিনিট ফাঁকা গুলি ও কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে।
পুলিশ সুপার আরও বলেন, শহরের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে অতিরিক্ত পুলিশ ও র্যাব মোতায়েন করা হয়েছে।