ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বেসামরিক বিমান চলাচল কতৃপক্ষের (বেবিচক) গাড়ি চালক সালেহকুজ্জামানকে ৫টি স্বর্ণের বার ও ৫০টি চেইনসহ আটক করেছে বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)।
আজ শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) দুপুরে বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, ড্রাইভার সালেকুজ্জামান হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ২১ নাম্বার গেট ব্যবহার করে টার্মিনালের ভেতরে প্রবেশ করেন। এরপর ১ নম্বর লাগেজ বেল্টের টয়লেট থেকে স্বর্ণের বার এবং স্বর্ণের চেইনগুলো সংগ্রহ করেন। এরপর সেগুলো নিয়ে কাস্টমসের গ্রিন চ্যানেল পার হওয়ার সময় তার আচরণ এবং গতিবিধি দেখে এপিবিএন গোয়েন্দা দলের সন্দেহ হয়। গ্রিন চ্যানেল পেরিয়ে বের হয়ে যাওয়ার সময় তাকে আটক করা হয় এবং জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এপিবিএন অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়।
জিয়াউল হক জানান, এপিবিএনের অফিসে এনে ক্যাবের গাড়ি চালককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি প্রথমে অস্বীকার করেন এবং পরে তিনি সোনা চোরাচালানের কথা স্বীকার করেন। এরপর তার শরীরে তল্লাশী চালানো হলে তিনি নিজ হাতেই স্বর্ণের প্যাকেটগুলো বের করে দেন। প্রতিটি ৯৯.৯৬ গ্রাম করে পাঁচটি বারের ওজন প্রায় আধা কেজি এবং চেইন ও ব্রেসলেটের ওজন ৩২৩ দশমিক ৯০ গ্রাম। সবমিলে তার কাছ থেকে পাওয়া স্বর্ণের বাজার মূল্য প্রায় ৮২ লাখ টাকা।
জিয়াউল হক বলেন, ‘আমরা জানি যে, ঈদকে সামনে রেখে একটি চক্র বিমানবন্দর ব্যবহার করে চোরাচালানে সক্রিয় হয়েছে। এই ধরনের প্রচেষ্টা প্রতিহত করতে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন গত ১২ এপ্রিল থেকে চোরাচালানবিরোধী বিশেষ অভিযান চালিয়ে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় আজকে অভিযানের তৃতীয় দিনে এই স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়। গত ১২ এপ্রিল অভিযান শুরুর প্রথম দিনেও প্রায় ১ কেজি স্বর্ণ, ১০৭টি মোবাইল, বিপুল পরিমাণ সিগারেট ও শুল্কযোগ্য কসমেটিকস উদ্ধার করে এপিবিএন।
তিনি আরও জানান, উদ্ধার হওয়া স্বর্ণের বার এবং চেইনের বিষয়ে ফৌজদারি আইনে বিমানবন্দর থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।