31 C
Dhaka
Friday, September 20, 2024

শিবচরে বাস দুর্ঘটনায় পরিবহন মালিকের বিরুদ্ধে মামলা

ডেস্ক রিপোর্ট:

মাদারীপুরের শিবচরে বাস দুর্ঘটনায় ১৯ জন নিহতের ঘটনায় ইমাদ পরিবহনের মালিকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে হাইওয়ে পুলিশ।

গতকাল রোববার দিবাগত রাত ২টায় শিবচর থানায় মামলাটি দায়ের করেন শিবচর হাইওয়ে পুলিশের সার্জেন্ট জয়ন্ত সরকার।

মাদারীপুরের শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আনোয়ার হোসেন জানান, রোববার ভোরে খুলনা থেকে রাজধানী ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় ইমাদ পরিবহনের একটি বাস। যাত্রাবাড়ী-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের কুতুবপুরে এলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি সড়কের নিচের আন্ডারপাস সেতুর সাথে ধাক্কা লাগে। এতে দুমড়ে-মুচড়ে যায় বাসের সামনের অংশ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ১৪ জনের লাশ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস। আহতদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে মারা যায় আরো পাঁচজন। এছাড়া বেশ কয়েকজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় নেয়া হয়েছে ঢাকা মেডিক্যালে। বাসটির যান্ত্রিক ত্রুটি আর বেপরোয়া গতির কারণেই এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা হয়েছে উল্লেখ করে থানায় ইমাদ পরিবহন কর্তৃপক্ষসহ অজ্ঞাতদের আসামি করে মামলা করে হাইওয়ে পুলিশ।

এদিকে নিহতদের লাশ প্রথমে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রাখা হয়। পরিচয় শানক্তের পর বুঝিয়ে দেয় হয় পরিবারের কাছে। আর নিহতদের প্রত্যেক পরিবারকে ২৫ হাজার এবং আহতদের চিকিৎসার জন্য পাঁচ টাকা করে আর্থিক সহায়তার ঘোষণা দেয় জেলা প্রশাসন।

দুর্ঘটনায় নিহত ১৯ জনের মধ্যে ১৭ জনের নাম পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। নিহতদের মধ্যে সাতজন গোপালগঞ্জ জেলার বিভিন্ন উপজেলার, খুলনার চারজন, এছাড়া ফরিদপুর, খুলনা, নড়াইল, সাতক্ষীরা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও পাবনা জেলার একজন করে রয়েছেন।

তারা হলেন গোপালগঞ্জের গোপীনাথপুর এলাকার তৈয়ব আলীর ছেলে হেদায়েত মিয়া, বনগ্রাম এলাকার শামসুল শেখের ছেলে মোশতাক আহম্মেদ, সদর উপজেলার নশর আলী শেখের ছেলে সজীব শেখ, পাচুরিয়া এলাকার মাসুদ হোসেনের মেয়ে সুইটি আক্তার, টুঙ্গিপাড়ার কাঞ্চন শেখের ছেলে করিম শেখ, সদর উপজেলার আবু হেনা মোস্তফার মেয়ে আফসানা মিমি, মুকসেদপুর এলাকার আমজেদ আলীর ছেলে মাসুদ আলী, খুলনার সোনাডাঙা এলাকার শেখ মোহাম্মদ আলীর ছেলে আব্দুল্লাহ আল মামুন, খুলনা সাউথ মেন্টাল রোড এলাকার চিত্ত রঞ্জন ঘোষের ছেলে চিন্ময় প্রসুন ঘোষ, ডুমুরিয়া এলাকার পরিমল সাদু খায়ের ছেলে মহাদেব কুমার সাদু খা, আমতলা এলাকার শাহজাহান মোল্লা ছেলে আশফাকুর জাহান লিংকন, বাগেরহাট জেলার শান্তি রঞ্জন মজুমদারের ছেলে অনাদি মজুমদার, ফরিদপুর হিদাডাঙ্গা এলাকার সৈয়দ মুরাদ আলীর ছেলে মো: ইসমাইল, নড়াইল লোহাগড়া এলাকার বকু শিকদারের ছেলে ফরহাদ শিকদার, বাসের চালক ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আলী আকবরের ছেলে জাহিদ হাসান ও বাস সুপারভাইজার মো: মিরাজ এবং বাসের হেলপার পাবনা সুজানগর এলাকার গহর আলীর ছেলে ইউসুপ আলী।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ জানায়, বাসটির ফিটনেস সনদ ছিল না। আর পুলিশের ধারণা, বাসটি বেপরোয়া গতিতে চলছিল। এ কারণে চাকা ফেটে যাওয়ার পর চালক বাসটির গতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি।

দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে পুলিশ সুপার মো. মাসুদ আলম বলেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি অনিয়ন্ত্রিত গতির কারণে চাকা ফেটে গেলে ইমাদ পরিবহনের বাসটি খাদে পড়ে যায়।

সর্বশেষ সংবাদ

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপর নামধারী ছাত্রলীগের হামলা, আহত ১৫

ববি প্রতিনিধি: বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কোটা সংস্কার আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালিয়েছে বরিশাল  বিশ্ববিদ্যালয়ের নামধারী ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। এ ঘটনায় ১৫  জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।    সোমবার(২৯...

শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে জাবি শিক্ষকের পদত্যাগ

ন্যায্য দাবিতে আন্দোলনরত সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের এক শিক্ষক। আজ...

কেমন ছিল বুধবারের আন্দোলন, যা বললেন ঢাবি শিক্ষার্থী

কোটা সংস্কার আন্দোলনের আরও একটি সহিংসতাময় দিন পার হলো বুধবার। দিনের শুরুতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে চলে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের উচ্ছেদের অভিযান। রাতে বেগম রোকেয়া হল...