বৈশ্বিক চাপ, অভ্যন্তরীণ সংকট, সব মিলিয়ে আসন্ন শীতে বেঁচে থাকার জন্য কঠিন সংগ্রামে নামতে হচ্ছে আফগানদের। জীবনযাত্রার মানের অবনতি হওয়ায় পরিস্থিতি জটিল হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
রেডক্রসের আন্তর্জাতিক কমিটির একজন শীর্ষ কর্মকর্তা এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘দেশটি তালেবান শাসনের অধীনে দ্বিতীয় শীতের জন্য প্রস্তুত’।
২০২১ সালের আগস্টে তালেবান শাসনের অভ্যুত্থান আফগানিস্তানের অর্থনীতিকে নিয়ন্ত্রণের বাইরে নিয়ে গেছে। বিদেশী সাহায্য রাতারাতি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় লক্ষ লক্ষ মানুষকে দারিদ্র্য ও খাদ্যাভাবের দিকে ঠেলে দিয়েছে।
রেডক্রসের অপারেশন ডিরেক্টর মার্টিন শুয়েপ গত রবিবার বার্তা সংস্থা এপি’কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘এখানে মানুষের অর্থনৈতিক কষ্ট আছে। সমস্যাটি অত্যন্ত গুরুতর এবং জীবনের জন্য এখানকার মানুষদের সংগ্রাম করতে হবে’।
তিনি আরো বলেন, ‘শীতের আগমন মানবিক প্রয়োজনগুলোকে আরো বাড়িয়ে তুলবে। দেশের অর্ধেক মানুষ ইতিমধ্যেই মুখোমুখি হচ্ছে’।
উল্লেখ্য, তালেবান শাসকদের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি, ব্যাংক ট্রান্সফার বন্ধ করা এবং আফগানিস্তানের বিলিয়ন বিলিয়ন কারেন্সি রিজার্ভ জমিয়ে রাখার কারণে ইতিমধ্যেই বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠনগুলোতে আফগানিস্তানের প্রবেশাধিকার সীমিত হয়ে এসেছে। এছাড়াও মার্কিন ও ন্যাটো বাহিনী প্রত্যাহারের আগে দেশটি বাইরে থেকে যে অর্থ সহায়তা পেত সেটিও বন্ধ হয়ে গেছে।
প্রসঙ্গত শুয়েপ বলেন, ‘সামগ্রিকভাবে দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়ছে তবে নিষেধাজ্ঞার কারণে বিষয়টি ব্যাপক আকার ধারণ করছে। অনেক আফগানদেরকেই এখন প্রয়োজন মেটাত জিনিসপত্র বিক্রি করতে হচ্ছে। সামনে শীত এলে তাদের গরম পোশাক কিনতে হবে। একই সাথে খাবার এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসগুলোর জন্য ক্রমবর্ধমান খরচের সম্মুখীন হতে হবে’।
আফগানিস্তানের উপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞাগুলো সময়মতো দেশটিতে বৈশ্বিক সাহায্য এবং প্রয়োজনীয় দ্রব্য সরবরারের ক্ষেত্রে একটি বড় চ্যালেঞ্জ। তবে সমস্ত নিষেধাজ্ঞার মানবিক ছাড় রয়েছে যাতে করে আইসিআরসি এর মতো সংস্থাগুলো তাদের কাজ চালিয়ে যেতে পারে।
প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা পরিষেবাগুলোকে অব্যাহত রাখার জন্য রেডক্রস ইতিমধ্যে প্রতি মাসে ১০,৫০০ মেডিকেল কর্মীদের বেতন প্রদান করছে বলে জানিয়েছেন শুয়েপ।