আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেছেন, আপনারা সতর্ক থাকবেন, বিএনপি যেন নাশকতা করতে না পারে। আমরা বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে। কেউ যেন বিজয় ছিনিয়ে না নিতে পারে, সে জন্য সতর্ক থাকুন। আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটে আবার সরকার গঠন করবে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা আবারও প্রধানমন্ত্রী হয়ে বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশের অভিমুখে নেতৃত্ব দেবেন। আমরা বিপুল ভোটে বিজয়ী হব।
শনিবার (৬ জানুয়ারি) নিজ নির্বাচনী এলাকায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনে আতঙ্ক ছড়ানোর জন্য বিএনপি-জামায়াত যে কর্মসূচি নিয়েছে তা ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করুন। আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা বাহিনী শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে নিয়োজিত আছেন, আপনারা নির্ভয়ে ভোটকেন্দ্রে আসুন দলে দলে নিজেদের সাংবিধানিক অধিকার বাস্তবায়ন করতে ভোট দেবেন। কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ ও ভয়ভীতির কাছে নতি স্বীকার করবেন না। যারা ভোট প্রদানে বাধা সৃষ্টি করবে তাদের প্রতিহত করুন।
সারাদেশে শান্তিপূর্ণ ভোট হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে। বিদেশি পর্যবেক্ষক, সাংবাদিক যারা এসেছেন তারাও নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবেন। আজকে যে অপশক্তি নির্বাচন বর্জন করেছে তাদের সন্ত্রাসী চরিত্রের প্রমাণ আপনারা দেখতে পাচ্ছেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির ভোট বর্জনের ডাক দিয়েছে এবং তারা প্রতিনিয়ত নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন বিরোধী অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ কোনো অপশক্তির কাছে কখনো মাথা নত করেনি এবং ভবিষ্যতেও করবে না। আমরা গভীর ক্ষোভ ও উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি ৭ জানুয়ারির নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি ও তাদের দোসররা নাশকতা অগ্নিসংযোগসহ ব্যাপক সন্ত্রাসী তৎপরতা শুরু করেছে।
তিনি বলেন, শুক্রবার রাতে তারা ঢাকার গোপীবাগে ট্রেনে অগ্নিসংযোগ করে দুইজন শিশুসহ চার জনকে হত্যা করেছে, কয়েকজন দগ্ধ হয়েছেন। এ ঘৃণ্য সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
বিদেশি পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, তারা (বিএনপি-জামায়াত) বাসে আগুন দিচ্ছে, ট্রেনে আগুন দিচ্ছে। তাদের সন্ত্রাসী চরিত্র সম্পর্কে আমরা বাংলাদেশের মানুষ অবগত। বিএনপি গণতন্ত্রের হত্যাকারী, গণতন্ত্র হরণকারী দল। একটি গুজব পার্টি, তারা গুজব ছড়াচ্ছে।