আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সরকার সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিলেই বিএনপি বলে বিরোধীদল দমন করা হচ্ছে। বিএনপি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নয়। সে কারণে বিএনপি নেতারা বিরোধীদল দমনের মিথ্যা অভিযোগ তুলে সন্ত্রাসীদের সুরক্ষা দেওয়ার অপচেষ্টা করছেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলতে চাই- আওয়ামী লীগ বিরোধীদল দমনে বিশ্বাস করে না। তবে সন্ত্রাসীদের কোনো ছাড় নেই। সে যে দলেরই হোক না কেন, সন্ত্রাসীদের বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।’
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এসব কথা বলেন।
বিবৃতিতে তিনি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপি নেতাদের রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যা, বানোয়াট ও মনগড়া বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপি নেতারা লাগাতারভাবে মিথ্যাচার করে যাচ্ছেন। প্রকৃতপক্ষে গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের প্রতি তাদের কোনো শ্রদ্ধাবোধ নেই। একদিকে তারা আগুন-সন্ত্রাসীদের লালন-পালন করছে অন্যদিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করলে বিরোধীদল দমনের মিথ্যা অভিযোগ উপস্থাপন করছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা ও স্থিতিশীলতা বিনষ্টে বিএনপি লাগাতারভাবে ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত ও অপতৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে গণতন্ত্র ও নির্বাচন বানচালের নামে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে মেতে উঠেছিল বিএনপি।
তিনি বলেন, ইতোপূর্বে ২০১৩, ২০১৪ ও ২০১৫ সালে বিএনপি-জামায়াত অপশক্তি সারা দেশে ভয়াবহ অগ্নিসন্ত্রাস চালিয়ে শত শত নিরীহ মানুষকে নির্বিচারে হত্যা করেছিল। তাদের এই ভয়াবহ সম্মিলিত সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করলেই বিএনপি নেতারা বিরোধীদল দমনের কথা বলেন।
সরকার বেপরোয়াভাবে কাউকে কারাগারে পাঠাচ্ছে না বরং সন্ত্রাস ও সহিংসতার অভিযোগে অভিযুক্ত বিএনপির নেতাকর্মীরা আইন ও আদালতের মুখোমুখি হচ্ছেন। তারা জামিনে মুক্তিও পাচ্ছেন। তবে যারা নিরীহ মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে- জনগণের জানমালের ক্ষয়ক্ষতি করেছে ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করেছে সেসব সন্ত্রাসী ও তাদের গডফাদারদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং আদালত যথাযথ আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।