ববি প্রতিনিধি: বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) শিক্ষার্থী মাইশা ফওজিয়া মিম বাস চাপায় নিহতের ঘটনায় বাস মালিক পক্ষের সঙ্গে সমঝোতা না হওয়ায় ফের সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা৷
শুক্রবার (১ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ৩টা থেকে বরিশাল – পটুয়াখালী মহাসড়কে শুরু হওয়া অবরোধ সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায়ও অব্যাহত ছিল। দীর্ঘ সময় ধরে মহাসড়ক অবরোধ থাকায় দুই পাশে শতশত যানবাহন আটকে পড়ে।
পটুয়াখালী দশমিনা হতে ঢাকাগামী যাত্রী মজিবুর রহমান বলেন, দীর্ঘ আড়াইঘন্টা জ্যামে বসে থেকে নিরুপায় হয়ে কষ্ট হলেও হেঁটেই রওনা দিয়েছি। এ অবরোধের ফলে অশেষ ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। দুপুর আড়াইটায় রওনা হয়ে এখন সাড়ে ৬টা এখনো বরিশালে। কখন পৌঁছাই সেই অনিশ্চিতয়তাই আছি। এই সমস্যার দ্রুত সমাধান হওয়া উচিত। এইভাবে জন দুর্ভোগের কোনো মানে হয় না।
জানা যায়, বাস মালিকপক্ষ থেকে প্রতিনিধি দল বরিশালে অবস্থান করলেও নিরাপত্তা শঙ্কায় ক্যাম্পাসে মিটিংয়ে আগ্রহ প্রকাশ না করায় শিক্ষার্থীরা রাস্তা অবরোধের সিদ্ধান্ত নেয়৷ এদিকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে দাবি মিটিং বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে অনুষ্ঠিত হবে৷
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী মো. আবির হোসেন বলেন, মাইশা হত্যাকান্ডের সাথে যারা জড়িত তাদেরকে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার করে প্রেসমিটিং করে সাংবাদিকদের জানানো কিন্তু প্রশাসন সেটা পুরোপুরি আমরা চাই মালিকপক্ষে নিয়ে আসতে ব্যর্থ হয়েছে৷ গতকাল রাত ১১ টার মধ্যে বাস মালিকদের মধ্যে উপস্থিত করতে ব্যর্থ হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন৷ যতক্ষণ না পর্যন্ত দাবি আদায় না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত আন্দোলন চলবে৷
বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী শাহেদুল ইসলাম শাহেদ বলেন, নির্ধারিত সময়ে নারায়ণগঞ্জ ট্রাভেলসের মালিকপক্ষ না আসায় আমরা এমন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছি৷ আশা করি দ্রুত সমাধান হবে৷
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর রাহাত হোসেন ফয়সাল বলেন, আমরা শিক্ষার্থী এবং মালিক পক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি৷ দুইপক্ষের মধ্যে সামান্য গ্যাপ তৈরী হয়েছে৷ বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা চলছে৷