ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) ঘোষিত সময়সূচির বাইরে যেকোনো প্রতিষ্ঠান খোলা রাখতে চাইলে ডিএসসিসি থেকে অনুমতি নিতে হবে। প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার যৌক্তিকতা তুলে ধরে আবেদন করতে হবে। ডিএসসিসি প্রয়োজনীয়তা বিবেচনা করে অনুমতি দেবে।
মঙ্গলবার(৩০ আগস্ট) ডিএসসিসি নগর ভবনে করপোরেশনের দ্বিতীয় পরিষদের ষোড়শ করপোরেশন সভায় সভাপতির বক্তব্যে মেয়র তাপস এসব কথা জানান।
ডিএসসিসির সচিব আকরামুজ্জামানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহম্মদ এবং বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর।
মেয়র তাপস বলেন, আমরা ঢাকা শহরের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে একটি সময়সূচি উপস্থাপন করেছি এবং আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে এটা কার্যকর করতে চাই। সেখানে দোকান-পাট, বিপণিবিতান, কাঁচাবাজার, রেস্তারাঁ, চিত্ত-বিনোদন, প্রেক্ষাগৃহসহ ইত্যাদির জন্য সমসয়সীমা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ওষুধের দোকানগুলোর জন্য বিশেষভাবে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এর বাইরে যদি কোনো প্রতিষ্ঠান, স্থাপনা ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করতে চায়, তাহলে ডিএসসিসির কাছে লিখিতভাবে আবেদন করতে হবে। খোলা রাখা কেন অত্যাবশ্যকীয় সেটার যথাযথ যুক্তি প্রদর্শন করতে হবে।
ডিএসসিসি মেয়র শেখ তাপস আরও বলেন, হাসপাতালে সংযুক্ত ওষুধের দোকান ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখার যৌক্তিকতা আমরা দেখি না। কারণ, যেখানে রবিবার থেকে বৃহস্পতিবার সুনির্দিষ্ট সময়ের পর, শুক্র-শনিবার এবং রাতের বেলা চিকিৎসকই পাওয়া যায় না, সেখানে ওষুধের দোকান কেন খোলা রাখা হবে? আগে তো চিকিৎসক নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি বলেন, তারপরই তো চিকিৎসা সেবার জন্য ওষুধের দোকান খোলা রাখতে হবে। তারপরও কোনো হাসপাতাল থেকে যদি লিখিত কোনো আবেদন আসে, আমরা অবশ্যই সেটা বিবেচনা করব।