যুগপৎ আন্দোলন নিয়ে একটা চমক আছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম। তিনি বলেন,সেই চমকের জন্য তাঁরা অপেক্ষা করছেন। প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তবে কবে নাগাদ যুগপৎ আন্দোলন শুরু হবে এবং সেই চমকই–বা কী, সে বিষয়ে তিনি কিছু বলেননি।
রবিবার(২ অক্টোবর) বিকেলে বিএনপির চেয়ারপারসনের গুলশানের কার্যালয়ে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে বেরিয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম।
সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেন, আমরা বলেছি যুগপৎ আন্দোলন কবে? তবে আমরা একমত হয়েছি তারিখটা প্রকাশ না করার জন্য। তবে একটা বাংলা শব্দ বলতে পারি, চমক আছে। আপনারা তার জন্য মেহেরবানি করে প্রস্তুত থাকতে পারেন।
কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, আমি একজন রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধা। আমি মনে করি, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের যে সংগ্রাম, সেটি আরেকটি মুক্তিযুদ্ধ। সেখানে আমরা সবাই মিলে এই যুদ্ধ লড়ব এবং জয়ী হব। এখানে জয় ব্যতীত অন্য কোনো বিকল্প নাই।
কল্যাণ পার্টির এ শীর্ষ নেতা বলেন, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি যুগপৎ আন্দোলন করতে প্রস্তুত রয়েছে।যখন আমাদের মধ্যে সিদ্ধান্তটা হবে, যে চমকের জন্য আমরা অপেক্ষায় আছি, হয়তো আপনারা আমার আগে খবর পাবেন, সেটা ঘোষণা হওয়া মাত্রই আমাদের রাজপথে পাবেন।
তিনি বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সাংবাদিকদের নিপীড়নের অন্যতম অস্ত্র হয়েছে। খালেদা জিয়া ও সব রাজনৈতিক নেতার পাশাপাশি ধর্মীয় অঙ্গনের সব আলেম-ওলামা যাঁদের ‘মিথ্যা মামলা’ দিয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কারাগারে রাখা হয়েছে, তাঁদের মুক্তির জন্য করণীয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বিএনপি ও বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি কোনো অবস্থাতেই ধর্মীয় নেতাদের ওপর অত্যাচার ও নিপীড়নকে অবহেলা করছে না, আমরা সেটাকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করছি।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির মহাসচিব ও স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। অপর দিকে কল্যাণ পার্টির মহাসচিব আব্দুল আউয়াল মামুন, অতিরিক্ত মহাসচিব নুরুল কবির পিন্টু, যুগ্ম মহাসচিব রাসেদ ফেরদৌস সোহেল মোল্লা, আবদুল্লাহ আল হাসান সাকিবসহ ৯ জন অংশ নেন।