সারাদেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের চাকরি ১৩তম গ্রেড থেকে ১০ম গ্রেডে উন্নীত করার নির্দেশ কেন দেয়া হবে না তা জানতে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার বিচারপতি আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মো. সোহরাওয়ার্দীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
একই সঙ্গে সহকারী শিক্ষকদের চাকরি ১০ম গ্রেডে উন্নীত করার যৌক্তিকতা তুলে ধরে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর গত বছরের নভেম্বরে পাঠানো আবেদন এক মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দেয়া হয়েছে। শিক্ষা সচিব, শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের চার সপ্তাহের মধ্যে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এর আগে ১০ নভেম্বর বরগুনার প্রাথমিকের সহকরী শিক্ষক মো. মাহববুর রহমানসহ বিভিন্ন জেলার১৫ জন শিক্ষক হাইকোর্টে রিটটি করেন। যাতে রিটকারীরা তাদের চাকরি
১০ম গ্রেড দেয়ার নির্দেশনা চান। পরে সে রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিবাদীদের প্রতি রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন ও অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলাম।
আদেশের বিষয়টি আইনজীবীরা নিশ্চিত করেন। ব্যারিস্টার সুমন সাংবাদিকদের বলেন, সারা দেশের কয়েক লাখ সহকারী শিক্ষক ১৩তম গ্রেডে বেতন পান। কিন্তু একই শিক্ষাগত যোগ্যতায় চাকরি নিয়ে সিনিয়র স্টাফ নার্স, কম্পিউটার অপারেটরসহ অনেক পদেই কর্মরতরা ১০ম গ্রেডে বেতন পাচ্ছেন। এটা শিক্ষকদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ। এছাড়া স্বাধীনতার পর একাত্তর থেকে সাতাত্তর সাল পর্যন্ত সহকারী শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষকরা একই গ্রেডে বেতন পেতেন। এসব কারণে রিট করি। আদালত শুনানি নিয়ে রুল জারি করেছেন। পাশাপাশি সহকারি শিক্ষকদের দশম গ্রেড পাওয়ার যৌক্তিকতা বিষয়ে পাঠানো চিঠি নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দিয়েছেন।