রাজধানীর কারওয়ান বাজার এলাকা থেকে সাংবাদিক মুন্নি সাহা গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার (৩০ নভেম্বর) রাত ১০ টার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানায় দায়ের হওয়া একটি হত্যা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোবারক হোসেন।
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ‘এক টাকার খবরে’র অফিস থেকে বের হয়ে সবজি কিনতে যান মুন্নী সাহা। সেখানে গিয়ে তিনি জনতার তোপের মুখে পড়েন। বেশকিছুক্ষণ তাকে ঘিরে রাখা হয়। পরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তেজগাঁও থানা পুলিশ তাকে হেফাজতে নেয়।
তেজগাঁও থানার ওসি মোবারক হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘কারওয়ান বাজারের জনতা টাওয়ারের সামনে সবজি কিনছিলেন মুন্নী সাহা। এসময় তাকে চিনতে পেরে একদল লোক বিক্ষুব্ধ হয়ে তার ওপর চড়াও হন। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে যায় তেজগাঁও থানা পুলিশ। পরে তাকে উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নেওয়া হয়।’
প্রসঙ্গত, জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে শিক্ষার্থী নাঈম হাওলাদার (১৭) নিহতের ঘটনায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। গত ২২ আগস্ট যাত্রাবাড়ী থানায় ওই মামলা দায়ের করেন নিহত শিক্ষার্থীর বাবা মো. কামরুল ইসলাম।
মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ এবং পুলিশ ও র্যাব কর্মকর্তাদের আসামি করা হয়। পাশাপাশি সাতজন সাংবাদিককেও এ মামলায় আসামি করা হয়। তাদের মধ্যে একজন মুন্নী সাহা।
সাংবাদিক মুন্নী সাহার সব ধরনের ব্যাংক হিসাবের তথ্য চেয়ে গত ৬ অক্টোবর ব্যাংকগুলোকে চিঠি দেয় বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।
চিঠিতে বলা হয়, আপনাদের ব্যাংকে মুন্নী সাহা এবং তার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে কোনো আমানত, ঋণ, লকার, ক্রেডিট কার্ড, ফরেন ট্রেড, অফশোর ব্যাংকিং হিসাব থাকলে সেসব হিসাবের লেনদেনের তথ্য ৭ অক্টোবরের মধ্যে বিএফআইইউকে পাঠাতে হবে। এ ছাড়া হিসাব খোলার ফরম, টিপি, কেওয়াইসি প্রোফাইল ফরম, শুরু থেকে হালনাগাদ লেনদেন বিবরণী ও অন্যান্য দলিলাদির তথ্যও বিএফআইইউকে পাঠাতে নির্দেশ দেওয়া হয় ওই চিঠিতে।