সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানকে দেশটির প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করা হয়েছে। যদিও ঐতিহ্যগতভাবে বাদশাহ নিজেই সাধারণত এই দায়িত্ব পালন করে থাকেন।
রাজকীয় ফরমানের বরাত দিয়ে মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সৌদি প্রেস এজেন্সি (এসপিএ) জানিয়েছে, বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজের নির্দেশে মন্ত্রিসভায় আনা রদবদলে যুবরাজকে এ দায়িত্ব দেওয়া হয়।
গত কয়েকবছর ধরে সৌদি যুবরাজ কার্যত দেশটির শাসক হিসেবেই বিবেচিত হয়ে আসছেন। এর আগে বাদশাহ সালমানের অধীনে তিনি উপপ্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেন। এখন নতুন প্রতিরক্ষামন্ত্রী করা হয়েছে তাঁর ছোট ভাই খালিদ বিন সালমানকে। খালিদ উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন।
রাজকীয় ফরমান অনুযায়ী, অন্য জ্যেষ্ঠ মন্ত্রীদের স্বপদে বহাল রাখা হয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফায়সাল বিন ফারহান আল-সউদ, অর্থমন্ত্রী মোহাম্মদ আল-জাদান এবং বিনিয়োগমন্ত্রী খালিদ আল-ফাতিহ নিজ নিজ পদে বহাল রয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত মাসে ৩৭ বছর বয়সে পদার্পণ করা যুবরাজকে বিশ্বের সর্বাধিক তেল রপ্তানিকারক দেশটির অঘোষিত শাসকই মনে করা হয়। এই নিয়োগের মধ্য দিয়ে সরকার প্রধান হিসেবে তাঁর ভূমিকার আনুষ্ঠানিকতা কেবল সম্পন্ন হয়েছে।
সৌদি আরবে সাধারণত প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকতেন বাদশাহ নিজে। মনে করা হচ্ছে, ছেলে মোহাম্মদ বিন সালমানকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দেয়ার মাধ্যমে আস্তে ধীরে ক্ষমতা হস্তান্তরের দিকেই এগুচ্ছেন ৮৬ বছর বয়সী বাদশাহ সালমান।
এদিকে যুবরাজ সালমান ২০১৭ সালেই সিংহাসনের উত্তরাধিকারী হন।