ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগে বন্ধ হয়ে যাওয়া গাইবান্ধা ৫ আসনের উপনির্বাচন ৪ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। তবে এবারেও এই নির্বাচনে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ করা হবে। সেইসাথে সকল কেন্দ্রই থাকবে সিসিটিভি এর আওতায়।
আজ মঙ্গলবার সকালে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে এসব কথা জানান ইসি সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম।
তিনি বলেন, আগামী ৪ জানুয়ারি গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। এ আসনের ভোট হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)। সব কেন্দ্র থাকবে সিসিটিভির আওতায়। প্রার্থীরা মঙ্গলবার থেকেই প্রচারণা শুরু করতে পারবেন।
এর আগে সোমবার দুপুরে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা গাইবান্ধা-৫ আসনের নির্বাচন প্রসঙ্গে জানান, আগের নির্বাচনের দোষী কেউ নতুন নির্বাচনের দায়িত্বে থাকবেন না। ওই এলাকা থেকে সম্ভব না হলে প্রয়োজনে পার্শ্ববর্তী জেলা-উপজেলা, তাও সম্ভব না হলে দেশের যেকোনো স্থান থেকেই প্রিসাইডিং অফিসার আনা হবে।
এর আগে, এই আসনে উপনির্বাচনের ভোটে অনিয়মের অভিযোগে ১৩৩ জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
গত ৩০ নভেম্বর নির্বাচন ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল জানান, তদন্তে ১২৫ জন প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ও পাঁচটি কেন্দ্রের পাঁচজন এসআই’র বিরুদ্ধে দায়িত্ব পালনে অবহেলার প্রমাণ পাওয়া গেছে।
উল্লেখ্য, ব্যাপক অনিয়মের কারণে গত ১২ অক্টোবর ওই আসনের উপনির্বাচনে ভোট গ্রহণ মাঝপথে বন্ধ করে দেয় ইসি।
সংবিধান অনুযায়ী, কোনো সংসদীয় আসন শূন্য ঘোষণার ৯০ দিনের মধ্যে সেখানে উপনির্বাচনের বাধ্যবাধকতা আছে। তবে, দৈব-দুর্বিপাকে ওই সময়ের মধ্যে ভোট করতে না পারলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার আরও ৯০ দিন সময় বাড়াতে পারেন।
ইসির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১২ অক্টোবর গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনে ব্যাপক অনিয়ম হওয়ায় নির্বাচন কমিশন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ৯১(ক) অনুচ্ছেদের বিধানমতে সম্পূর্ণ নির্বাচনী এলাকার ভোট গ্রহণসহ সব নির্বাচনী কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করে। সংবিধানের ১২৩(৪) অনুচ্ছেদের বিধানমতে, জাতীয় সংসদের কোনো সদস্যপদ শূন্য হলে ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচনের মাধ্যমে তা পূরণ করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। গাইবান্ধা-৫ শূন্য আসনে এই মেয়াদ ২০ অক্টোবর শেষ হবে। কিন্তু ওই নির্বাচনী এলাকায় সব আবশ্যকীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে এ মেয়াদের মধ্যে পুনর্নির্বাচন কোনোভাবেই সম্ভব নয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গাইবান্ধায় উদ্ভূত পরিস্থিতি অনাকাঙ্ক্ষিত, অকল্পনীয় ও নিয়ন্ত্রণবহির্ভূত বিবেচনায় দৈব-দুর্বিপাক গণ্য করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার চলতি অক্টোবর মাসের ২০ তারিখের পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের নতুন মেয়াদ নির্ধারণ করেছেন।