স্থলভাগে সম্পদের সীমাবদ্ধতার কারণে বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় আমাদের দৃষ্টিও এখন দেশের সমুদ্র অঞ্চলের দিকে নিবদ্ধ বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, সমুদ্রপথে আমাদের শতকরা ৯০ ভাগ আন্তর্জাতিক বাণিজ্য পরিচালিত হচ্ছে এবং সুনীল অর্থনীতির বিশাল ভাণ্ডার মজুত রয়েছে এই বঙ্গোপসাগরে।
সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ জলসীমায় সমুদ্র সম্পদের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করার মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কোস্ট গার্ড বিশেষ ভূমিকা পালন করে আসছে।
আমাদের যেমন সমুদ্র আছে তেমন বিশাল উপকূলীয় অঞ্চল রয়েছে উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, এই অঞ্চলের সব ধরনের নিরাপত্তা বিধান করা, সব সম্পদ আমাদের অর্থনীতিতে কাজে লাগানো একান্ত অপরিহার্য। বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের অধিকার আদায়ে বঙ্গবন্ধু ১৯৭৪ সালে আইন প্রণয়ন করেন। জাতিসংঘে তখনো এই আইন হয়নি। জাতিসংঘে এ আইন হয়েছে ১৯৮২ সালে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশই এই আইন প্রথম পাস করে।
শেখ হাসিনা বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে সমুদ্রসীমা নির্ধারণ করে আমরা বিশ্বের কাছে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছি। এ ক্ষেত্রে আমাদের কোস্টগার্ড অত্যন্ত দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করেছে।
উপকূলীয় এলাকার পাশাপাশি আমাদের নিজস্ব সমুদ্র এলাকায় সার্বভৌমত্ব এবং শৃঙ্খলা রক্ষায় কোস্টগার্ড অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছে। এ জন্য কোস্টগার্ডের সকল সদস্যকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী৷