ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান জানিয়েছেন, ‘সৌদি সরকারকে অনুরোধ করে করে হজের খরচ কিছুটা কমানো হয়েছে। আজ বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে এর ঘোষণা দেয়া হবে।’ হজ প্যাকেজের ডি ও সি ক্যাটাগরিতে খরচ কমানো হবে বলে জানান তিনি।
গতকাল মঙ্গলবার (২১ মার্চ) দুপুরে নাটোর কালেক্টরেট সম্মেলন কক্ষে আন্তধর্মীয় সংলাপ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, সৌদি সরকার আগের তুলনায় হজযাত্রীদের জন্য কিছু নতুন সুবিধা যোগ করায় প্রতি হজযাত্রীর জন্য প্রায় এক লাখ টাকা খরচ বেড়ে গেছে।
২০২৩ সালের ১ ফেব্রুয়ারি সরকার প্রতিটি হজযাত্রীর জন্য ৬ লাখ ৮৩ হাজার ১৮ টাকা নির্ধারণ করে, যা গত বছরের তুলনায় প্রায় ১ লাখ ৬১ হাজার টাকা বেশি।
বাংলাদেশ থেকে হজের ব্যয় প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় বেশি হওয়ায় ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে সরকার। এর মধ্যে প্রতিটি যাত্রীর জন্য বিমান ভাড়া হিসেবে ১ লাখ ৯৭ হাজার ৭৯৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
গত ১৪ মার্চ হাইকোর্ট প্রশ্ন তোলা হয়, ‘বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো সরকার কেন হজের জন্য বাজেট বরাদ্দ করে না?’ সরকার নির্ধারিত প্যাকেজের খরচে সাধারণ মানুষ কিভাবে হজ করবে।
চলতি বছরের হজ প্যাকেজ সংশোধন নিয়ে এক রিট আবেদনের শুনানিকালে বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ পর্যবেক্ষণ দেন।
গত ১৫ মার্চ রিট আবেদনের শুনানি শেষে হজের খরচ কমানোর উদ্যোগ নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।
গত ১৭ মার্চ ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় বিমানের বিমান ভাড়া যৌক্তিকভাবে কমানোর জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দেয়।
এরপর গত ১৯ মার্চ বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শফিউল আজিম বলেন, এ বছর হজ ফ্লাইটের ভাড়া কমানোর কোনও সুযোগ নেই।
জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদের সভাপতিত্বে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সংসদ সদস্য শহিদুল ইসলাম বকুল এবং বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠন ও মতাদর্শের প্রতিনিধিরা এই সংলাপ অনুষ্ঠানে অংশ নেন।